পি ভি সিন্ধু ফাইল ছবি
আট বছর আগে প্রথম বার কমনওয়েলথ গেমস খেলতে নেমে ব্রোঞ্জ জেতেন। পরের বার পান রুপো। এ বার ফের পদকের রং বদলে ফেলতে চান পি ভি সিন্ধু। জিততে চান সোনা। তবে পাখির চোখ অলিম্পিক্স পদকই। সেখানেও সোনা অধরা রয়েছে তাঁর। স্বপ্নপূরণ করে ফেলতে চান প্যারিসেই। শুক্রবার দলগত ইভেন্টে নিজের ম্যাচ জেতার পর এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়।
সিন্ধু বলেছেন, “আমার প্রধান লক্ষ্য প্যারিস অলিম্পিক্স। আপাতত কমনওয়েলথ গেমসে পদক জেতায় ফোকাস করছি। কমনওয়েলথে পদক জেতাও আমার কাছে বড় কৃতিত্বের। এটাও চার বছর পরে হয়। দেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করা যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছেই গর্বের ব্যাপার। আশা করি এ বার সোনা জিততে পারব।”
পরের মাসে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে নামবেন সিন্ধু। সেখানে তাঁকে লড়তে হতে পারে তাই জু-ইংয়ের বিরুদ্ধে। ২০১৯-এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পর আর তাই জু-কে হারাতে পারেননি সিন্ধু। পর পর সাত বার হেরেছেন। ক্যারোলিনা মারিন এবং আন সে ইয়ংয়ের মতো বাঁ হাতি খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধেও তাঁর সমস্যা হচ্ছে। সিন্ধু অবশ্য মানতে চাইলেন না। বলেছেন, “এমন নয় যে ওদের হারানোর উত্তর আমার জানা নেই। আমার কাছে প্রতিটা ম্যাচ আলাদা। নির্দিষ্ট দিনের উপর সব নির্ভর করে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের খেলার কৌশল আলাদা। স্ট্রোকও আলাদা। সে ভাবেই ওই নির্দিষ্ট দিনে পরিকল্পনা করতে হয়। অনেক ম্যাচ রয়েছে যেখানে বাছাই করা খেলোয়াড়রা প্রথম রাউন্ডে হেরে গিয়েছে। কোর্টের পরিবেশের উপরেও অনেক কিছু নির্ভরশীল।”
সিন্ধু এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সাফল্য পেতে গেলে আপাতত চোটমুক্ত থাকতে হবে তাঁকে। হায়দরাবাদি খেলোয়াড়ের কথায়, “শারীরিক ভাবে ফিট থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চোটমুক্ত থাকার জন্য আমরা আলাদা করে প্রশিক্ষণ নিই। শরীরের খেয়াল রাখা সবার আগে দরকার। পরের পর প্রতিযোগিতা খেলতে হয় আমাদের। তাই শারীরিক ভাবে ১০০ শতাংশ সক্ষম থাকতে হবে।”