এরা ক্রিকেট বিশ্বের জনপ্রিয় মুখ। কেউ ব্যাট হাতে তো কেউ বল হাতে শাসন করেছেন ক্রিকেট বিশ্ব। সেই সব তারকাদের ছোটবেলার ছবি রইল এখানে। দেখুন তো কত জনকে সঠিক ভাবে চিনতে পারছেন আপনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ইনি। ৯৬টি টেস্টের পাশাপাশি খেলেছেন ২৮৭টি এক দিনের আন্তর্জাতিক। উইকেটের পিছনে অসাধারণ ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে জয় করেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীদের মন।
ইনি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। তিনটি বিশ্বকাপ রয়েছে তাঁর পকেটে। ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের স্বপ্ন ভঙ্গের শুরুটা হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই।
ক্রিকেট আসরে লেগ স্পিনের আলোচনা হবে, আর এই ক্রিকেটারের নাম উঠবে না, এ রকম হতেই পারে না। একা হাতে অস্ট্রেলিয়ার বহু হারতে চলা ম্যাচ জিতিয়েছেন ইনি। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ ইনি।
ইনি শেন ওয়ার্ন। ২২ গজে মস্তানির পাশাপাশি মাঠের বাইরেও বহু কারণে নাম জড়িয়েছে তাঁর। টেস্ট ক্রিকেটে ৭০৮ উইকের মালিক ওয়ার্ন আইপিএলের প্রথম সিজনে রাজস্থান রয়্যালসকে চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম কাণ্ডারি।
এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। ইদানিংকালে এক দিনের দলে তেমন সুযোগ না পেলেও টেস্ট ক্রিকেটে নিজের জাত চিনিয়েছেন বারেবারেই।
ইনি অজিঙ্কে রাহানে। ২০১৩তে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের মাটিতে টেস্টে অভিষেক হয় তাঁর। এখনও পর্যন্ত ৬৩টি টেস্ট খেলে তিনি করেছেন চার হাজার ২০৩ রান।
ইনি ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর। টেস্ট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব থেকে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এখনও তাঁর দখলেই রয়েছে।
ইনি সচিন তেন্ডুলকর। ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পরও যার নেমে উদ্বেলিত হয় আসমুদ্র হিমাচল। ভারতের জার্সিতে ২০০টি টেস্টের পাশাপাশি খেলেছেন ৪৬৩টি একদিনের আন্তজার্তিক ম্যাচ।
ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক। খেলেছেন ১১৩টি টেস্ট ম্যাচ। পাশাপাশি ৩১১টি এক দিনের ম্যাচে তাঁর রান ১১ হাজার ৩৬৩।
ইনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইডেনে স্টিভ ওয়ের বিজয় রথ থেমেছিল তাঁর অধিনায়কত্বেই। বর্তমানে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট কন্টোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট।
টেস্ট ক্রিকেটের একটি ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখনও তাঁর দখলে। বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যানের টেস্ট ও এক দিনের আন্তর্জাতিক রয়েছে দশ হাজারের বেশি রান।
ইনি ব্রায়ান চার্লস লারা। ত্রিনিদাদের রাজপুত্র এক সময় বিশ্বের বোলারদের কাছে ত্রাস ছিলেন।
যমজ ভাই তাঁরা। এক সঙ্গে এক দলে খেলেছেন। দাদা দীর্ঘ দিন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কও ছিলেন।
এঁরা স্টিভ ও মার্ক ওয়। যদিও এই দুই ভাই একসঙ্গে সুযোগ পাননি অস্ট্রেলিয়া দলে। স্টিভের অভিষেক হয়েছিল ১৯৮৫তে ভারতের বিরুদ্ধে। মার্কের অভিষেক হয়েছিল ১৯৯১ সালে।
এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। ২০১০-এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর।
ইনি স্টিভ স্মিথ। ৭৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলে করেছেন সাত হাজার ২২৭ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন চার হাজার ১৬২ রান।
ভারতের হিটম্যান তিনি। টি-২০ ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন চারটি সেঞ্চুরি। পাশাপাশি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের অধিনায়ক তিনি।
ইনি রোহিত শর্মা। এক দিনের ক্রিকেটের একটি ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তাঁর দখলে।
ভারতীয় দলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ওপেনার তিনি। টেস্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ইনিংসে করেছিলেন ৩১৯ রান।
ইনি বীরেন্দ্র সহবাগ। ভারতের হয়ে একশোর বেশি টেস্ট ও আড়াইশোর বেশি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
ক্যানসারকে পরাস্ত করে ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। ভারতের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়ের অন্যতম নায়ক।
ইনি যুবরাজ সিংহ। ভারতের হয়ে খেলেছেন ৩০৪টি এক দিনের আন্তর্জাতির ম্যাচ। ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য সিরিজও হয়েছিলেন তিনি।
ভারতের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক। তাঁর হেলিকপ্টার শট নিয়ে এক সময় মেতেছিল ক্রিকেট বিশ্ব।
ইনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২০১১তে তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। টেস্ট ক্রিকেট থেকে ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন। তবে বর্তমানে বেশ কিছু দিন জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলেন সচিনের সেঞ্চুরির রেকর্ড এক মাত্র ইনিই ভাঙতে পারেন। অধিনায়ক হিসাবেও সফল তিনি।
ইনি বিরাট কোহালি। এক দিনের ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই করেছেন ১১ হাজারেরও বেশি রান। সঙ্গে রয়েছে ৪৩টি সেঞ্চুরি।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন। ২০১৮তে ভারতের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলে অবসর নিয়েছেন।
ইনি অ্যালিস্টার কুক। ১৬১টি টেস্ট খেলে করেছেন ১২ হাজার ৪৭২ রান।
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক ইনি। পর পর দু’টি বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ডও রয়েছে।
ইনি রিকি পন্টিং। ১৬৮টি টেস্টে করেছেন ১৩ হাজার ৩৭৮ রান। এক দিনের ম্যাচেও ১৩ হাজারের বেশি রান আছে তাঁর। তাঁর নেতৃত্বাধীন অস্টেলীয় দল রাজত্ব করেছে বহু দিন।
বাঁ-হাতি স্পিন বোলার। নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন তিনি।
ইনি ড্যানিয়েল ভেত্তোরি। টেস্ট ও এক দিনের ম্যাচে ৩০০-র বেশি উইকেট রয়েছে তাঁর। টেস্টে একটি ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ২০ বারেরও বেশি।