VVS Laxman

ইডেন টেস্টে লক্ষ্মণের ফুটওয়ার্কই হারায়, মত চ্যাপেলের

আর বর্তমান ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহালি সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্র্যাড হগের বিশ্বাস, সচিন তেন্ডুলকরের ১০০ শতরানের রেকর্ড ভেঙে দেবেন বিরাট।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২০ ০৪:২০
Share:

ফাইল চিত্র।

ভারতের প্রাক্তন ও বর্তমান দুই ক্রিকেটারের দক্ষতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন দুই ক্রিকেটার।

Advertisement

প্রথম জন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল তুলে আনলেন ১৯ বছর আগে ২০০১ সালে ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভি ভি এস লক্ষ্মণের সেই স্মরণীয় ইনিংসের কথা। বললেন, সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে হারতে হয়েছিল খারাপ বোলিংয়ের জন্য নয়। লক্ষ্মণের দুরন্ত ফুটওয়ার্কের জন্য।

আর বর্তমান ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহালি সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্র্যাড হগের বিশ্বাস, সচিন তেন্ডুলকরের ১০০ শতরানের রেকর্ড ভেঙে দেবেন বিরাট।

Advertisement

২০০১ সালের সেই ইডেন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ফলো-অন করার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় দল লক্ষ্মণ ও রাহুল দ্রাবিড়ের জুটিতে ভর করে ৭ উইকেটে ৬৫৭ রান করে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে।

এ ব্যাপারে শেন ওয়াটসনকে ক্রিকেট সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে চ্যাপেল বলেছেন, ‘‘দুর্দান্ত লেগস্পিনের বিরুদ্ধে কী ভাবে খেলতে হয়, সেই ম্যাচে তা দেখিয়েছিল লক্ষ্মণ। সেই ম্যাচে দ্রাবিড়ও ওর মতো অতটা নজর কাড়তে পারেনি। পরে শেন ওয়ার্ন আমার কাছে জানতে চেয়েছিল, খারাপ বল না করলেও হারতে হল কেন?’’ উল্লেখ্য, কলকাতার সেই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫২ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছিলেন ওয়ার্ন।

প্রথম ইনিংসে ফলো-অন করেও ১৭১ রানে ভারতের সেই অন্যতম স্মরণীয় জয়ের ম্যাচ সম্পর্কে চ্যাপেল আরও বলেন, ‘‘ওয়ার্নকে ওই ম্যাচে লক্ষ্মণ যে ভাবে খেলেছিল তা আজও আলোচনার বিষয়। ওয়ার্নের মাথার উপর দিয়ে বল প্রান্ত সীমার বাইরে পাঠিয়েছিল। এ ছাড়াও লেগস্পিনারের বলকে কব্জির মোচড়ে কভার অঞ্চল দিয়ে প্রান্তসীমা পার করাতে দেখেছিলাম লক্ষ্মণকে।’’ যোগ করেন, ‘‘সত্যিই বিস্ময়কর প্রতিভা। আসলে সেই ম্যাচে ওয়ার্ন খারাপ বল করেনি। অস্ট্রেলিয়া হেরে গিয়েছিল লক্ষ্মণের ফুটওয়ার্কের কাছেই।’’

অন্য দিকে, নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভক্তের প্রশ্নের উত্তরে কোহালি সম্পর্কে ব্র্যাড হগ বলেছেন, ‘‘সচিনের ১০০ শতরানের রেকর্ড অবশ্যই ভাঙতে পারে কোহালি। সচিন যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছিল সে সময় আর এখনকার ফিটনেসে আকাশপাতাল পার্থক্য।’’ যোগ করেছেন, ‘‘দলের সঙ্গে আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন চিকিৎসক ও ফিজিয়োরা থাকেন। যে কোনও চোটেরই গুরুত্ব সহকারে চিকিৎসা হয়। ফলে ক্রিকেটারেরা অনেক বেশি ম্যাচ খেলতে পারে। সে কারণেই কোহালি আগামী দিনে সচিনের এই রেকর্ড ভাঙতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement