বিনেশ ফোগাট। — ফাইল চিত্র।
ওজনের সর্বোচ্চ সীমার কথা সব সময়ে মাথায় রাখতে হবে কুস্তিগিরদের। পরিস্থিতি যা-ই হোক, এর কোনও ব্যতিক্রম হবে না। বিনেশ ফোগাটকে নিয়ে বিস্তারিত রায় প্রকাশ করে এই যুক্তিই তুলে ধরল ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট বা ক্যাস। তারা জানিয়েছে, বিনেশ নিজের দোষেই অলিম্পিক্সে পদক পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
গত ১৪ অগস্ট বিনেশকে নিয়ে একটি বাক্যে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল ক্যাস। সোমবার বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ২৪ পাতার সেই রিপোর্টে বিস্তারিত ভাবে ক্যাস জানিয়েছে কেন বিনেশের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
ক্যাস বলেছে, “ক্রীড়াবিদদের সমস্যা হল, ওজনের সর্বোচ্চ সীমা কতটা হবে সে ব্যাপারে নিয়ম খুব স্পষ্ট এবং সমস্ত প্রতিযোগীর ক্ষেত্রেই তা সমান। ঊর্ধ্বসীমার ব্যাপারে কোনও রকম আপস করা হয় না। এক গ্রাম বেশি ওজন হওয়াও ঠিক নয়। কী ভাবে নির্ধারিত সীমার থেকে ওজন কম হবে, সেই দায়িত্ পুরোপুরি সংশ্লিষ্ট ক্রীড়াবিদের।”
ক্যাস আরও লিখেছে, “আবেদনকারীর (বিনেশ) ওজন যে বেশি ছিল এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। শুনানিতে তিনি স্পষ্ট ভাবেই সেটা জানিয়েছেন। উনি জানিয়েছিলেন যে, ঋতুস্রাব চলার কারণে জল খাওয়া এবং শরীরে জল থাকার কারণেই ওজন বেশি হয়েছে। তা মানা যায় না।”
এ ছাড়া, বিভিন্ন ছত্রে বিনেশের আবেদনকে খণ্ডন করা হয়েছে। ক্যাস বলেছে, “বিচারক জানিয়েছেন, আবেদনকারী নিজের ইচ্ছায় ৫০ কেজি বিভাগে অংশগ্রহণ করেছিলেন। নিয়মবিধির ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রতিযোগীকে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করতে হয় এবং তিনি কেবল একটিই বিভাগে অংশ নিতে পারেন। সরকারি ভাবে ওজন মাপার সময়ও নিজের ওজন ঠিক রাখা তাঁরই দায়িত্ব।”
তারা আরও লিখেছে, “আবেদনকারী একজন অভিজ্ঞ কুস্তিগির। তাই এই নিয়মকানুনের ব্যাপারে জানবেন না, তা হতে পারে না।। উনি নিজেই ৫০ কেজি বিভাগে অংশগ্রহণ করেছেন। উনি জানিয়েছেন, ওজন কমানোর জন্য যথেষ্ট সময় পাননি। শারীরিক কোনও কারণে যে তাঁর ওজন বেড়ে গিয়েছিল, এই কারণ উনি দেননি।”