নোভাক জোকোভিচ (বাঁ দিকে) এবং কার্লোস আলকারাজ। — ফাইল চিত্র
আগামী রবিবার উইম্বলডনের ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারেন কার্লোস আলকারাজ এবং নোভাক জোকোভিচ। তার আগে দেখা দিল বড়সড় বিতর্ক। জোকোভিচের অনুশীলনের সময় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠল আলকারাজের বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনা কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আলকারাজ। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ জোকোভিচ। অনুশীলনের সময় আরও বেশি গোপনীয়তা চেয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে, সম্ভাব্য মহারণের আগেই তেতে উঠেছে উইম্বলডন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এই ঘটনার নাম দিয়েছে ‘স্পাইগেট’।
উইম্বলডনের আয়োরাঙ্গি পার্কে অনুশীলন করছিলেন জোকোভিচ। সেখানে একটি পাহাড়ের পাশে পর পর ১৮টি কোর্ট রয়েছে। সাংবাদিকদের পাশাপাশি সমর্থকেরাও সেখানে অনুশীলন দেখতে পারেন। সমর্থক সেজে সেখানে গিয়েছিলেন আলকারাজের বাবা। স্থানীয় কেউ তাঁকে সেখানে দেখতে পান এবং চিনে ফেলেন। দেখা যায়, মোবাইল বের করে জোকোভিচের অনুশীলনের ভিডিয়ো করছেন আলকারাজের বাবা। সেই ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। বুধবার এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয় আলকারাজকে। তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
বুধবার কোয়ার্টার ফাইনালে হোলগার রুনকে হারিয়ে আলকারাজ বলেছেন, “হয়তো সত্যি। আমার বাবা টেনিসের বিরাট সমর্থক। শুধু আমার ম্যাচই নয়, অন্যদেরও প্রচুর ম্যাচ দেখে। সকাল ১১টায় কোর্টে ঢুকে রাত ১০টায় বেরোয়। ম্যাচ, অনুশীলন সবই দেখে। জোকোভিচকে সামনাসামনি দেখা কম বড় কথা নয়। হয়তো সে কারণেই ওর অনুশীলনের ভিডিয়ো করছিল।” কিন্তু ছেলে যাতে বাড়তি বাড়তি সুবিধা পান, সেই জন্যই কি জোকারের অনুশীলনের ভিডিয়ো করছিলেন বাবা? স্পেনের খেলোয়াড়ের উত্তর, “মনে হয় না। জোকোভিচের ভিডিয়ো তো চাইলেই আরও অনেক জায়গা থেকে পেতে পারি। ফলে ওই ভিডিয়ো দেখে আমার বাড়তি কোনও সুবিধা হবে না।”
আলকারাজ যা-ই বলুন, জোকোভিচ কিন্তু এই ঘটনায় একেবারেই খুশি হননি। তিনি বলেছেন, “এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে অনুশীলনেও কোনও গোপনীয়তা থাকছে না। কখনও সখনও আমি একটু গোপনীয়তা পছন্দ করি। তা হলে নতুন কিছু চেষ্টা করার একটা সুযোগ পাওয়া যায়। নিজের দলের সঙ্গে ভাল করে কথা বলা যায়।”
জোকোভিচের সংযোজন, “আমরা অনুশীলনেও নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি না। বার বার মনে হচ্ছে শত্রুরা ওখানে রয়েছে। গোপনে প্রত্যেকটা শট খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।”