প্রথম একাদশে জায়গা ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী উমেশ। ফাইল চিত্র
একটা সময় তাঁকে ভারতের দ্রুততম জোরে বোলার হিসেবে মনে করা হত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পরস্থিতি বদলে গিয়েছে। ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরা ও ভুবনেশ্বর কুমারের দাপটে অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছেন উমেশ যাদব। এই সব সিনিয়রদের আবার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছেন শার্দূল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর মতো তরুণ জোরে বোলার। যদিও ‘বিদর্ভ এক্সপ্রেস’ মনে করেন তিনি আরও দুই-তিন বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারেন।
এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে সব ধরণের ক্রিকেটে ব্যাপক প্রতিযোগিতা চলছে। বিশেষ করে জোরে বোলিং বিভাগে প্রতিযোগিতা আরও বেশি। গত অস্ট্রেলিয়া সফরে মেলবোর্ন টেস্টে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট দলে জায়গা পেলেও, চূড়ান্ত একাদশে সুযোগ পাননি। যদিও ৪৮টি টেস্ট খেলা উমেশের দাবি, “আমার বয়স এখন ৩৩। আমার শরীরের যা অবস্থা তাতে আরও দুই-তিন বছর অনায়াসে খেলতে পারব। তবে এটাও জানি দলে এই মুহূর্তে একাধিক তরুণ এসেছে ও তারা ভাল ভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে। যদিও আমি এতে চিন্তিত নই। কারণ এটা সুস্থ প্রতিযোগিতার লক্ষ্মণ, এতে দল ভাল খেলছে।”
আইপিএল ছাড়া জাতীয় দলের সীমিত ওভারের দলে তাঁকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হয়না। তাই সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমন অবস্থায় আসন্ন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার সুযোগ কি তিনি পাবেন? আশাবাদী উমেশ বলছেন, “এই ফাইনাল খেলার জন্য দলের সবাই অনেক পরিশ্রম করেছে। তাছাড়া আমরা যারা সীমিত ওভারের দলে সুযোগ পাইনা তাদের কাছে এই ম্যাচ বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো। সেই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে দলকে জেতাতে পারলে সেটা গোটা জীবনের বড় পাওনা হবে। ইংল্যান্ডে বল বাড়তি সুইং করে। তাই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ফাইনাল খেলার ব্যাপারে আশাবাদী।”
৪৮টি টেস্টের মধ্যে ২৮টি ম্যাচ দেশে খেললেও বিদেশে ২০ ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন। তাই এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর উপর কি অধিনায়ক বিরাট কোহলী ভরসা রাখবেন? শেষে উমেশের দাবি, “এটা ঠিক যে বিদেশে খেলার অভিজ্ঞতা কম। কিন্তু এত বছর টেস্ট খেলার সুবাদে কোথায় বল করলে উইকেট পেতে পারি সেটা বেশ জানি। তাই ফাইনাল খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।”