এ ছাড়াও আদালতকে বেকার বলেছেন তাঁকে এ ভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করায় তাঁর ভাবমূর্তি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেমনই তাঁর রোজগারেও ধাক্কা লেগেছে। ১৫ বছর পেশাদার টেনিস খেলে বেকার ৪৯টি সিঙ্গলস খেতাব জিতেছেন।
ফাইল চিত্র।
তাঁর জেতা উইম্বলডন ট্রফি কোথায় রয়েছে, সেটা তিনি জানেন না। আদালতে বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে এ কথাই বললেন জার্মানির প্রাক্তন টেনিস তারকা বরিস বেকার। আদালতে দাঁড়িয়ে ছ’ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী বেকার জানিয়েছেন, উইম্বলডন ট্রফি পরের দিন খুঁজে পাওয়া গেলে তিনি তা দিয়ে দেবেন।
৫৪ বছর বয়সি বেকারকে ২০১৭ সালে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল ব্যাঙ্ক। তাঁর স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ন’টি ট্রফি ও পদক। যা তিনি গ্র্যান্ড স্ল্যাম-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জিতেছিলেন। এর মধ্যে অনেক ট্রফির হদিশ তিনি সঠিক ভাবে জানাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও তাঁর নামে যে ২৪টি অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোও তিনি অস্বীকার করেছেন। আদালতে বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর এই জার্মান টেনিস তারকা জানিয়েছেন, আর্থিক অবস্থা ফেরাতে তিনি তাঁর সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন। তাঁর জেতা অনেক ট্রফি, পদক ও স্মারক হারিয়ে গিয়েছে। কোথায় ট্রফি রেখেছেন, তা জানতে চাইলে বেকার বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে কোথায় ট্রফিগুলো রয়েছে তা মনে রাখার মতো মানসিক অবস্থা নেই।’’
বেকারের কথায়, ‘‘খেলোয়াড়দের কাছে জেতাটাই শেষ কথা। খেলার সময়ে জেতাটাই প্রাধান্য পায়। ট্রফি অতটা গুরুত্ব পায় না। এখন মনে হয়, আমার সন্তানদের তা দেখাতে হবে।’’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আর্থিক দুরাবস্থার সময়ে ১২ লক্ষ পাউন্ড (১১ কোটি টাকারও বেশি) ২৫ শতাংশ সুদে ধার নিয়েছিলেন ধনপতি জন কডওয়েলের কাছ থেকে। তার পরের বছরেই বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ৩.৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড (৩৮ কোটি টাকারও বেশি) ধার নেন। আদালতে বেকার জানিয়েছেন, স্পেনের মায়োরকায় কেনা তাঁর সম্পত্তি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন দেনা শোধ করার জন্য। এ ছাড়াও আদালতকে বেকার বলেছেন তাঁকে এ ভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করায় তাঁর ভাবমূর্তি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেমনই তাঁর রোজগারেও ধাক্কা লেগেছে। ১৫ বছর পেশাদার টেনিস খেলে বেকার ৪৯টি সিঙ্গলস খেতাব জিতেছেন।