cricket

বিশ্বকাপে নায়কদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া পরাজিত নায়কদের একাদশ, দলে তিন ভারতীয়ও

দলে নিয়মিত সুযোগ পাননি, কিন্তু যখনই ডাক এসেছিল, বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরাও তৈরি। এঁদের কেউ আবার শতরান করেও ম্যাচ জেতাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনই ক্রিকেটারদের নিয়ে আমরা তৈরি করলাম পরাজিত নায়কদের প্রথম একাদশ। যে দলে রয়েছেন তিন ভারতীয়ও। দেখে নেওয়া যাক কেমন হল সেই একাদশ।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ১২:০১
Share:
০১ ১২

দলে নিয়মিত সুযোগ পাননি, কিন্তু যখনই ডাক এসেছিল, বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরাও তৈরি। এঁদের কেউ আবার শতরান করেও ম্যাচ জেতাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনই ক্রিকেটারদের নিয়ে আমরা তৈরি করলাম পরাজিত নায়কদের প্রথম একাদশ। যে দলে রয়েছেন তিন ভারতীয়ও। দেখে নেওয়া যাক কেমন হল সেই একাদশ।

০২ ১২

লিটন দাস- বাংলাদেশের এই ওপেনার প্রথম চার ম্যাচে ছিলেন ব্রাত্য। কিন্তু সুযোগ পেয়েই ৬৯ বলে ৯৪ করে বুঝিয়ে দেন তাঁকে বসিয়ে রাখা ভুল ছিল। ওপেনিং ও মিডল অর্ডারে সমান দক্ষতায় খেলতে পারেন তিনি।

Advertisement
০৩ ১২

লোকেশ রাহুল- বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন ভারতের চার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে। কিন্তু শিখরের চোট তাঁকে সুযোগ করে দেয় ওপেন করার। সব ম্যাচে বড় রান না পেলেও ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছিলেন ওপেনে। রোহিতের সঙ্গে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দিয়েছেন অনেক ম্যাচেই।

০৪ ১২

আভিস্কা ফারনান্ডো- সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র চারটি ম্যাচে। তার মধ্যেই একটি শতরান ও এক ম্যাচে ৪৯-সহ করেন ২০৩ রান। শ্রীলঙ্কার টিমে শেষের দিকে ভরসা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু রয়ে গিয়েছেন পরাজিত নায়ক হয়েই।

০৫ ১২

হ্যারিস সোহেল- বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ায় বাদ পড়েন। পরে ফিরে এসে রান পান আবার। নিয়মিত সুযোগ পেলে হয়তো সত্যি হয়ে উঠতে পারতেন পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের ভরসা।

০৬ ১২

রসি ভান ডের ডুসেন- দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান রান পেয়েছেন নিয়মিত। কিন্তু দু’প্লেসিদের ভিড়ে সেই ভাবে নাম করতে পারেননি প্রোটিয়া শিবিরে। চোকার্স তকমা পাওয়া আফ্রিকান শিবিরে তিনি আরেক পরাজিত নায়ক।

০৭ ১২

কার্লোস ব্রেথওয়েট- পরাজিত নায়কের একাদশে তাঁকে রাখতেই হবে। শতরান করেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ নিয়েছেন ৯টি উইকেট। টুর্নামেন্টে সব ম্যাচ খেললে হয়ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফল আরও ভাল হত।আসন্ন ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক তিনিই।

০৮ ১২

ইমাদ ওয়াসিম- পাক ব্যাটসম্যানের ৩৯ বলে ৪৬ রান লড়াইয়ে রেখে ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। তবে কাজে আসেনি সেই রান। বাংলাদেশ ম্যাচেও তাঁর ঝোড়ো ইনিংস পার করতে সাহায্য করে ৩০০ রানের গণ্ডি। তবে সেই ইনিংসও পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে তুলতে পারেনি।

০৯ ১২

রবীন্দ্র জাডেজা- ভারতীয় সমর্থকদের আজও বিশ্বাস সেমিফাইনালে জাডেজা আউট না হলে ভারত ঠিক জয় তুলে নিত। তাঁর ৫৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংসে ভর করে আশায় বুক বাঁধছিল বহু ভারতীয়। ভারতীয় অলরাউন্ডার দলে সুযোগ না পেয়েও যখনই পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নেমেছেন, দিয়েছেন নিজের একশো শতাংশ। তবু তিনি দলে ছিলেন ব্রাত্য।

১০ ১২

মহম্মদ শামি- এই বিশ্বকাপে খেলেছিলেন মাত্র ৪টি ম্যাচ। তাতেই উঠে এসেছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায় বারো নম্বরে। সেমিফাইনালে তাঁকে ছাড়া নামা এখনও ভুল বলেই মনে করেন অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। পরাজিত নায়কদের বোলিংয়ে ভরসা তিনিই।

১১ ১২

শাহিন আফ্রিদি- এই বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহ আফ্রিদির। বাংলাদেশ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশি ব্যাটিংকে। তবে নিয়মিত সুযোগ পাননি কখনই।

১২ ১২

জেসন বেহরেনডরফ- এই বিশ্বকাপে খেলেছিলেন ৫টি ম্যাচ। স্টার্ক, কামিন্সদের ভিড়ে সুযোগ আসেনি দলে। কিন্তু ৯টি উইকেট নিয়ে প্রবল দাবিদার ছিলেন দলে নিয়মিত হওয়ার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement