চ্যাম্পিয়ন: প্রো-কবাডি লিগ জয়ের পরে বঙ্গযোদ্ধাদের উচ্ছ্বাস। নিজস্ব চিত্র
খেলার শহর কলকাতার মুকুটে নতুন পালক জুড়ল শনিবার। ফুটবল ও ক্রিকেটে দেশের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইএসএল ও আইপিএল ট্রফি একাধিক বার এসেছে কলকাতায়। এ বার প্রো-কবাডি লিগের ট্রফিও জিতে নিল প্রতিযোগিতায় কলকাতার দল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স।
শনিবার দাবাং দিল্লিকে হারিয়ে আমদাবাদে প্রথম বার প্রো-কবাডি লিগের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে তুলল মনিন্দর সিংহের দল। ম্যাচের ফল বঙ্গযোদ্ধাদের তরফে ৩৯-৩৪। ফলে দেশের তিনটি খেলার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ জয়ের একমাত্র শহর হিসেবে নজির গড়ল কলকাতা। যে কৃতিত্ব ভারতের কোনও শহরের নেই।
গত কয়েক বছরে শুরুটা ভাল করলেও চোট-আঘাত ও ধারাবাহিকতা রাখতে না পারায় এই প্রতিযোগিতায় জিততে পারেননি বঙ্গযোদ্ধারা। কিন্তু এ বার শুরু থেকেই দারুণ ভাবে ছুটতে শুরু করেছিল বি সি রমেশের দলের বিজয়রথ। কলকাতার দলের অন্যতম মালিক আবার বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার। এ দিন নিজের দলের জয় দেখতে তিনিও হাজির ছিলেন সম্প্রচারকারী সংস্থার স্টুডিয়োতে। ম্যাচ দেখতে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুও।
চলতি মরসুমে কোচ বদল হয়েছিল বঙ্গযোদ্ধাদের। গত বছরের চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু বুলসের কোচ বি সি রমেশ যোগ দিয়েছিলেন বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের দায়িত্ব নিয়ে। তাঁর প্রশিক্ষণেই এ বার দুরন্ত পারফরম্যান্স ও ট্রফি জয় মনিন্দরদের। যদিও লিগ পর্বে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে দাবাং দিল্লির চেয়ে দুই পয়েন্ট পিছনে থেকে দ্বিতীয় হিসেবে শেষ করেছিল কলকাতার দলটি। কিন্তু ফাইনালে সেই দিল্লির দলকে হারিয়ে শেষ হাসি প্রতিযোগিতার সেরা ডিফেন্ডার জিভা কুমারদের মুখেই। খেলা শেষে কোচ বি সি রমেশ বলে দিলেন, ‘‘এই জয় ছেলেদের নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা ও কঠোর পরিশ্রমের ফল।’’
তবে এ দিনের ম্যাচের নায়ক মনিন্দর নয়। জয়ের নায়ক এ বারই ইরান থেকে কলকাতার দলে খেলতে আসা আলি নবি বক্স। দলের হয়ে ১৩ বার আক্রমণে গিয়ে তিনিই এ দিন তুলে আনেন ন’টি অমূল্য পয়েন্ট।