ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার লিখিত ছাড়পত্র পেয়ে গেল ভারতীয় বোর্ড। সোমবার আইপিএলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ পটেল জানিয়ে দিলেন, সরকার থেকে লিখিত অনুমতি তাঁদের হাতে এসে গিয়েছে। ২০২০-র আইপিএলের নতুন স্পনসর কে, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে ১৮ অগস্টের মধ্যে। আগামী সাত দিন চলবে সেই সংস্থাগুলির জমা দেওয়া দরপত্রগুলি পর্যালোচনার কাজ।
আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হচ্ছে আইপিএল। শেষ হবে ১০ নভেম্বর। মরুশহরের তিনটি মাঠ— দুবাই, আবু ধাবি ও শারজায় হবে ম্যাচ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ব্রিজেশ বলেছেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রক থেকে লিখিত ছাড়পত্র এসে গিয়েছে আমাদের কাছে। গত সপ্তাহে মৌখিক নিশ্চয়তা পাওয়ার পর থেকেই এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডকে প্রস্তুতি শুরু করতে বলা হয়ে গিয়েছিল। এখন লিখিত ছাড়পত্র পাওয়ার পরে ফ্র্যাঞ্চাইজিদেরও জানিয়ে দেওয়া হবে, সব কিছুই ঠিকঠাক এগোচ্ছে।’’
ভারতে করোনা পরিস্থিতি এড়িয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্যই এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় বোর্ড। পাশাপাশি চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক কোম্পানি সরে যাওয়ার পরে বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের স্পনসর কে হবে, তা নিয়েও সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে। ব্রিজেশ জানিয়ে দিলেন, আপাতত বেশ কয়েকটি সংস্থা আইপিএল স্পনসর করার জন্য আবেদন করেছে। তার মধ্যে বাবা রামদেবের আয়ুর্বেদিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিও আছে। তাই চিনা স্পনসর সরে যাওয়ায় যে ক্ষতি হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, তা জানিয়ে দিলেন ব্রিজেশ। আইপিএল চেয়ারম্যানের কথায়, ‘‘আগের স্পনসর সরে যাওয়ায় কোনও ভাবেই ক্ষতির আশঙ্কা নেই। স্পনসরের জন্য এখনই বহু সংস্থা আবেদন করেছে। তারা দরপত্রও জমা দিয়েছে। তার মধ্যে সব চেয়ে যোগ্য সংস্থাই স্পনসর করার সুযোগ পাবে। ১৮ অগস্টের মধ্যেই হয়তো নতুন স্পনসরের নাম ঘোষণা করে দেওয়া হবে।’’
মরুশহরে আইপিএল হওয়ার সরকারি ছাড়পত্রের ঘোষণার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভক্তেরা লিখছেন, ‘‘এ বার সন্ধ্যায় বাড়িতে থাকার কোনও কারণ খুঁজে পেলাম।’’ এ দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের অনুশীলনের ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন কে এল রাহুল ও সুরেশ রায়না। দীর্ঘদিন পরে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে রাহুল লিখেছেন, ‘‘প্রত্যেকটি শটের শব্দ কানে সঙ্গীতের মতো বাজছে।’’