ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা সৌরভের, ম্যাচ রাজধানীতেই

ভারতীয় বোর্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ‘দাদাগিরি’র শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকলেও তার মধ্যেই এ দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নেন। বোর্ডে সতীর্থ পদাধিকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তার পরে নিজে কথা বলেন ক্রিকেটারদের সঙ্গেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:০৮
Share:

প্রস্তুতি: বায়ুদূষণ দিল্লিতে। ভরদুপুরেই কোটলা স্টেডিয়ামে যেন গোধূলি। তারই মধ্যে শুক্রবার অনুশীলন সারলেন মণীশ পাণ্ডে, ঋষভ পন্থ, কে এল রাহুল, শার্দূল ঠাকুরেরা। পিটিআই

দিল্লিতে বায়ুদূষণ নিয়ে আতঙ্ক বেড়ে গেলেও ভারত বনাম বাংলাদেশ প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রাজধানী থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা শুক্রবার রাত পর্যন্ত নেই। এ দিনই জানাজানি হয় যে, দিল্লির পরিস্থিতিতে আরও অবনতি ঘটে খুবই সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে। স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। তখনই নতুন করে প্রশ্ন ওঠে, ৩ নভেম্বর, রবিবারের ম্যাচের কী হবে?

Advertisement

ভারতীয় বোর্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ‘দাদাগিরি’র শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকলেও তার মধ্যেই এ দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নেন। বোর্ডে সতীর্থ পদাধিকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তার পরে নিজে কথা বলেন ক্রিকেটারদের সঙ্গেও। ভারত এবং বাংলাদেশ, দু’দলের ক্রিকেটারেরাই এ দিন ফিরোজ শা কোটলায় অনুশীলন করেছেন। বাংলাদেশের কয়েক জন ‘মাস্ক’ পরে নেমেছিলেন। তবে ভারতীয়দের কাউকে সে রকম কিছু পরতে দেখা যায়নি। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে ইতিবাচক সাড়াই পান নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয়, ম্যাচ দিল্লিতেই রাখা হবে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগের সঙ্গে বোর্ডের নতুন পদাধিকারীরা আলোচনা করছেন বলেও খবর।

রোহিত শর্মা বৃহস্পতিবারেই বলে দিয়েছিলেন, দিল্লির পরিস্থিতি খেলার জন্য ভয়াবহ কিছু নয়। তাঁরা খুব একটা চিন্তার কিছু দেখছেন না। এ দিন বাংলাদেশ দলের বিদেশি কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘‘দিল্লির পরিস্থিতি আদর্শ নয় নিশ্চয়ই। তবে বায়ুদূষণের জন্য কেউ মারাও যাচ্ছে না।’’ যোগ করেন, ‘‘গত বার শ্রীলঙ্কা এখানে এসে সমস্যায় পড়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশেও দূষণ রয়েছে। তাই দিল্লির পরিস্থিতি সাংঘাতিক অবাক করার মতো কিছু নয়। যেটা কি না অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে হতে পারে।’’

Advertisement

বাংলাদেশের আল আমিন, আবু হায়দার রনি এবং স্পিন বোলিং পরামর্শদাতা ড্যানিয়েল ভেত্তোরিকে ফিল্ডিং অনুশীলনের সময় ‘মাস্ক’ পরতে দেখা যায়। পরে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে ক্রিকেটারেরা তা খুলে ফেলেন। একমাত্র ভেত্তোরিকে তা পরে থাকতে দেখা যায়। পরে ডোমিঙ্গো বলে দেন, ‘‘মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যাপার, তাই খুব বেশি চিন্তার কিছু নেই। সামান্য কিছু অসুবিধা হতে পারে, কিন্তু কেউ মারা যাচ্ছে না।’’

দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে শুক্রবারই দূষণের মাত্রা অতি আশঙ্কাজনক স্তরে পৌঁছয়। যে কারণে বিশেষ সতর্কতাও জারি হয়েছে। স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে বাজি ফাটানো এবং বাড়ি তৈরির কাজ নিষিদ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রথম অনুশীলনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে ‘মাস্ক’ পরতে দেখা গিয়েছিল। তবে লিটন জানান, ব্যক্তিগত অসুস্থতার কারণেই তিনি ‘মাস্ক’ পরেছিলেন, বায়ুদূষণের জন্য নয়। এ দিন ডমিঙ্গো বলেন, ‘‘বাতাস বইছে না ঠিকই। আদর্শ আবহাওয়া নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু দু’দলের জন্যই সমান পরিবেশ। অভিযোগ না করে আমরা খেলায় মনোনিবেশ করতে চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement