ছন্দে: জোড়া গোলের পরে উল্লাস বায়ার্নের লেয়নডস্কির। ছবি: এএফপি।
বায়ার্ন ৪ • চেলসি ১
(দুই ম্যাচ মিলিয়ে বায়ার্ন ৭-১ জয়ী)
চেলসিকে নিয়ে ছেলেখেলা করে বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি এ বার লিয়োনেল মেসির বার্সেলোনার। মেসি বনাম রবার্ট লেয়নডস্কি দ্বৈরথ নিশ্চিত হতেই বায়ার্নের কিংবদন্তি লোথার ম্যাথাউস পরিষ্কার বলে দিলেন, লিসবনে আগামী শুক্রবার জিতবে তাঁর পুরনো ক্লাবই, পারবে না বার্সা। প্রথম লেগে ৩-০ জয়ের পরে শনিবার নিজেদের মাঠে চেলসিকে ৪-১ ওড়াল বুন্দেশলিগা জয়ী বায়ার্ন। নায়ক যথারীতি লেয়নডস্কি। যিনি শুধু জোড়া গোল করলেন না, দু’টি গোল করালেনও। সেরা ফর্মে থাকা লেয়নডস্কিকে অনেকে এই মুহূর্তে মেসির থেকেও এগিয়ে রাখছেন। যা নিয়ে থোমাস মুলারের মন্তব্য, ‘‘কে সেরা, সেটা লিসবনেই প্রমাণ করার দায়িত্ব লিউয়ির (লেয়নডস্কি)!’’
লেয়নডস্কি মরসুমে ৫৩ গোল করলেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৩। এক মরসুমে এই টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ১৭ গোলের নজির ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। নজির গড়ার সুযোগ নিয়ে লেয়নডস্কি কিন্তু বলছেন, ‘‘রেকর্ডের কথা ভাবছিই না। বেশি খুশি হব, দল ফাইনালে উঠলে।’’ আর প্রবল আশাবাদী ম্যাথাউসের কথা, ‘‘মানছি যে কোনও ম্যাচে অসাধারণ কিছু করতেই পারে মেসিরা। তবু বলব, এই মুহূর্তে বায়ার্ন যে ছন্দে আছে, তারা একমাত্র হারতে পারে অপ্রত্যাশিত খারাপ খেললে।’’ যোগ করেন, ‘‘এ বার একটাই খেলা। ভুল যেন না হয়। কারণ সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।’’
শনিবার লেয়নডস্কিরা যে ফুটবলটা খেলেছেন তাতে ফল ৭-১ হলেও বলার কিছু ছিল না। ৯ মিনিটেই বায়ার্ন পেনাল্টি পায়। বক্সে লেয়নডস্কিকে বিশ্রী ভাবে ফেলে দেন চেলসি গোলরক্ষক কাবালেরো। ১-০ করতে ভুল করেননি পোলিশ তারকা। ২৪ ও ৭৬ মিনিটে ইভান পেরিসিচ এবং করেনটিন তোলিসোর গোল লেয়নডস্কির পাসেই। মাঝখানে ৪৪ মিনিটে মানুয়েল নয়্যারের ভুলে ফাঁকতালে গোল করেন চেলসির ট্যামি আব্রাহাম। আর দুরন্ত হেডে ৮৩ মিনিটে ম্যাচের সেরা গোলটা করে যান লেয়নডস্কি। যা দেখে বায়ার্ন ম্যানেজার হান্সি ফ্লিকের মন্তব্য, ‘‘বার্সার বিরুদ্ধেও রবার্ট একাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’’