জয়ের উচ্ছ্বাস বাংলাদেশের। ছবি রয়টার্স
সিরিজে এখনও দুই ম্যাচ বাকি। তার আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে গেল বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচেই জিতে গেল তারা।
শুক্রবার তৃতীয় একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ ১০ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছিল ২৩ রানে।
স্বপ্নের ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। উল্টো দিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিন যত এগিয়ে আসছে, তত চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার।
শুক্রবার বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান তোলে। জবাবে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১১৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মাহমুদুল্লাহ, নাসুম আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। মাহমুদুল্লাহ ৫২ রান করেন। তাঁর ৫৩ বলের ইনিংসে ৪টি চার রয়েছে। নাসুম ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর উইকেট না নিলেও ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দেন।
মাহমুদুল্লাহ টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। মাত্র তিন রানের মধ্যে মহম্মদ নঈম (১) ও সৌম্য সরকার (২) ফিরে যান। দুটি উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।
এরপর ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন শাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ। শাকিবের (২৬) সঙ্গে মাহমুদুল্লাহ তৃতীয় উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন। শাকিবকে ফেরান জাম্পা। পরের উইকেটে আফিফ হোসেনের সঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক ২৯ রান যোগ করেন। সপ্তম উইকেটে তিনি এবং মেহেদি হাসান আরও ৩০ রান যোগ করেন।
বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ তিন বলে মাহমুদুল্লাহ, মুস্তাফিজুর (০) ও মেহেদিকে (৬) আউট করে হ্যাটট্রিক করেন নাথন এলিস। এই জোরে বোলারের এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচ ছিল।
অর্ধশতরান করেছেন মাহমুদুল্লা। ছবি রয়টার্স
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের যা হাল, তাতে এলিসের পারফরম্যান্স কোনও কাজে লাগেনি। রান তুলতে হিমসিম খেয়ে যান অসি ব্যাটসম্যানরা। নাসুম ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। শাকিব ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। শোরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ (৫১), বেন ম্যাকডারমট (৩৫) ছাড়া কেউ ভাল রান পাননি।
এই সিরিজে বাংলদেশের বোলারদের বিরুদ্ধে রানই করতে পারছেন না অসি ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ১৩১ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া ১০৮ রানের বেশি করতে পারেনি। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১২১ রান তোলে।