বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামার আগে ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত ইগর স্তিমাচ। ছবি - এ আইএফএফ।
৭ জুন সন্ধে ৭:৩০ মিনিটে দোহার জাসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে নামার আগে সুনীল ছেত্রী, সন্দেশ জিঙ্ঘনদের বারবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। কারণ ২০১৯ সালে এই প্রতিবেশী বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই হারতে বসা ম্যাচ আদিল খানের গোলে ড্র করে মান রক্ষা করেছিল ভারত। সেই খেলায় ৮৮ মিনিট পর্যন্ত সাদ উদ্দিনের গোলে এগিয়ে ছিল জামাল ভুঁইঞার দল। শেষ মুহূর্তে আদিল গোলটি না করলে ভারতের বিরুদ্ধে গত কুড়ি বছরে প্রথম জয়টি পেয়েই যেত টাইগার্সরা। তাই বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের ফিরতি ম্যাচে নামার আগে বেশ সাবধানী মুখ্য প্রশিক্ষক ইগর স্তিমাচ।
সাংবাদিক সম্মেলনে স্তিমাচ বলেন, “বাংলাদেশ এমন একটা দল, যারা সবসময় মাঠে বিপক্ষকে বিরক্ত করে। গত বার কলকাতায় খেলার সময় এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ওরা জেতার পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারলে বিপক্ষকে বিভিন্ন ভাবে আটকে রাখার চেষ্টা করবে। আমার দেখা অন্যতম কঠিন দল। লড়াই করার প্রচন্ড তাগিদ আছে। তাই আমাদের সাবাধান হতেই হবে।”
ভারতীয় প্রশিক্ষক এই ম্যাচে অনিরুদ্ধ থাপাকে নিয়ে দল সাজাতে চাইছিলেন। তবে কোভিড মুক্ত হলেও তাঁকে মাঠে নামাতে পারবেন না। এর মধ্যে আবার গত ম্যাচে লাল কার্ড দেখার জন্য রাহুল ভেকে খেলতে পারবেন না। তাঁর পরিবর্তে আদিলকে খেলাতে পারেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন এই রক্ষণের ফুটবলার। সেক্ষেত্রে আদিল রক্ষণে খেললে প্রীতম কোটালকে রাইট ব্যাকের জায়গায় দেখা যেতে পারে।
আদিল বলেন, “সুনীল-ভাইকে ওরা কড়া মার্কিংয়ে রেখেছিল। তাই ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে যখন ব্রেন্ডন কর্নার কিক নিতে গেল, তখন আমি ওকে ইশারা করে দিই, আমি প্রথম পোস্টের দিকে দৌড়ব। সুনীল-ভাইকেও সেটা বলে রাখি। আই লিগে চার্চিল ব্রাদার্সের হয়ে খেলার সময় ব্রেন্ডনের কর্নারে আগেও এ ভাবে গোল করেছি আমি। আমার ইশারা ও বুঝতে পেরে বলটা একেবারে ঠিক জায়গায় রাখে। আমিও বলটা নিখুঁত ভাবে হেড করি। তার পরে যুবভারতীর গ্যালারি থেকে যে ৭০ হাজার মানুষের গর্জন ভেসে এল কানে, তা জীবনেও কোনও দিন ভুলতে পারব না।”
তবে ফিফা তালিকায় ভারতের থেকে পিছিয়ে থাকলেও নিজেদের দুর্বল ভাবতে রাজি নন জামাল। গত ম্যাচে ১-১ ড্রয়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, “এই ম্যাচে জোর লড়াই হবে। গতবার কলকাতায় তিন পয়েন্ট না পেয়ে আমরা খুব হতাশ হয়েছিলাম। ভারত একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল শোধ করে দেয়। এখনও খিদেটা রয়েছে আমাদের মধ্যে। আমরা যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তা হলে ওদের সমস্যায় ফেলতে পারি।”