এই মুহূর্তে বিশ্বক্রিকেটে তরুণ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২৫ বছর বয়সির গড় ৫০-এর উপরে। সেই তিনিই কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের জন্য বেছে নিয়েছেন ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ একাদশ। যাতে রয়েছেন ছয় জন ভারতীয়।
বাবর আজমের দলের ওপেনার হলেন রোহিত শর্মা। এই ফরম্যাটে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হলেন হিটম্যান। এই ফরম্যাটে ভারতের সহ-অধিনায়কও মুম্বইকর। ১০৮ ম্যাচে তাঁর ব্যাটে এসেছে ২৭৭৩ রান।
রোহিতের সঙ্গে ওপেনার হিসেবে নিজেকেই বেছেছেন বাবর আজম। ৩৮ টি-টোয়েন্টিতে ৫০.৭২ গড়ে ১৪৭১ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৭। স্ট্রাইক রেট ১২৮.১৩। শতরান নেই, তবে অর্ধশতরানের সংখ্যা ১৩।
তিনে ‘চেজমাস্টার’ বিরাট কোহালি। এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক কোহালি। ৮২ ম্যাচে ৫০.৮০ গড়ে ২৭৯৪ রান করে ফেলেছেন তিনি। সর্বাধিক অপরাজিত ৯৪। সেঞ্চুরি নেই, হাফ-সেঞ্চুরির সংখ্যা ২৪। স্ট্রাইক রেট ১৩৮.২৪।
চারে শোয়েব মালিক। পাকিস্তানের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে ২৩২১ রান করেছেন। যা পাকিস্তানের যে কোনও ব্যাটসম্যানের পক্ষে সর্বাধিক। ১১৩ ম্যাচে ৩১.৩৬ গড়ে ২৩২১ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ ৭৫। হাফ-সেঞ্চুরির সংখ্যা আট। সঙ্গে ২৮ উইকেট রয়েছে অফস্পিনে।
পাঁচে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ৯৮ ম্যাচে ৩৭.৬০ গড়ে ১৬১৭ রান করেছেন বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিনিশার। স্ট্রাইকরেট ১২৬.১৩। এর সঙ্গে উইকেটকিপার হিসেবে ৫৭ ক্যাচ ও ৩৪ স্টাম্পিং রয়েছে। এই ফরম্যাটে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তিনি।
ছয়ে বাবর আজম রেখেছেন অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্যকে। ৪০ টি-টোয়েন্টিতে ১৪৭.৬১ স্ট্রাইক রেটে ৩১০ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৩। মিডিয়াম পেসে নিয়েছেন ৩৮ উইকেট। ৩৮ রানে চার উইকেট তাঁর সেরা বোলিং।
এর পর রয়েছেন লেগস্পিনার শাদাব খান। ২১ বছর বয়সি খেলেছেন ৪০ টি-টোয়েন্টি। নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। ১৪ রানে চার উইকেট তাঁর সেরা বোলিং। গড় ২০.৮৭, স্ট্রাইক রেট ১৭.৮। পাশাপাশি, শাদাবের ব্যাটের হাতও মন্দ নয়।
পেসারদের মধ্যে ২০ বছরের শাহিন আফ্রিদিকে রেখেছেন বাবর। ১২টি-টোয়েন্টিতে ১৬ উইকেট নিয়েছেন বাঁ-হাতি এই পেসার। ২০ রানে তিন উইকেট তাঁর সেরা বোলিং। গড় ২০.৮১, স্ট্রাইক রেট ১৭.২।
জশপ্রীত বুমরা তাঁর বৈচিত্র ও অভ্রান্ত নিশানায় এই ফরম্যাটে যে কোনও দলের সম্পদ। ৫০ টি-টোয়েন্টিতে তিনি নিয়েছেন ৫৯ উইকেট। ১১ রানে তিন উইকেট তাঁর সেরা বোলিং। গড় ২০.২৫, স্ট্রাইক রেট ১৮.২, ইকনমি রেট ৬.৬৬। ডেথ ওভারে তাঁর ইয়র্কার ব্যাটসম্যানদের কাছে আতঙ্ক।
বাঁ-হাতি পেসার মহম্মদ আমিরকেও দলে রেখেছেন বাবর আজম। ৪৮ টি-টোয়েন্টিতে ৫৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১৩ রানে চার উইকেট তাঁর সেরা বোলিং। গড় ২০.৭৪, স্ট্রাইক রেট ১৭.৮, ইকনমি রেট ৬.৯৬।
চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবকে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে দলে রেখেছেন আজম। ২১ টি-টোয়েন্টিতে ৩৯ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। ২৪ রানে পাঁচ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং। গড় ১৩.৭৬, স্ট্রাইক রেট ১১.৬, ইকনমি রেট ৭.১১।