ফাইল চিত্র।
রাঁচিতে ওপেন অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্যতম সেরা আকর্ষণ নীরজ চোপড়াকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিল সর্বভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। একুশ বছরের অ্যাথলিটকে হঠাৎ-ই জানিয়ে দেওয়া হল, ডাক্তাররা মনে করছেন তাঁর কনুইয়ের চোট এখনও সারেনি। তিনি যেন প্রতিযোগিতায় না নামেন।
নীরজের সরে যাওয়ার মতো চমক নিয়েই এ দিন সন্ধ্যায় ট্রিপল জাম্পে সোনা জিতলেন জলপাইগুড়ির মেয়ে ভৈরবী রায়। রেলওয়েজের হয়ে নেমে ১৩.২১ মিটার লাফিয়ে চমকে দিলেন অভিজ্ঞ এই মেয়ে।
জ্যাভলিন থ্রো-তে পুরুষ বিভাগে দেশের সেরা নীরজ এখনও টোকিয়ো অলিম্পিক্সে যোগদানের ছাড়পত্র পাননি। কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী অ্যাথলিট কনুইয়ের চোটের অস্ত্রোপচার হওয়ায় গত এক বছর কোনও প্রতিযোগিতায় নামতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গত বছর মে মাসে ট্রেনিং করার সময় জানা যায় চোট সারাতে অস্ত্রোপচার জরুরি। সেটা হওয়ার পর এ বছর সেপ্টেম্বরে দোহায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নামতে চেয়েছিলেন নীরজ। কিন্তু সে বারও ডাক্তাররা অনুমতি দেননি। অনুমতি দেওয়ার পর এ দিন হঠাৎ এ এফ আই-এর নির্দেশ পাওয়ার পর তিনি হতাশ এবং বিরক্ত। বলে দিয়েছেন, ‘‘আমি প্রতিযোগিতায় ফিরতে চেয়েছিলাম। এ বছরের এটাই ছিল শেষ টুনার্মেন্ট। সেখানে নেমে বুঝতে চাইছিলাম নিজেকে। আমি ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেই রাঁচিতে নামতে চেয়েছিলাম। তাঁরা আমাকে দেখে অনুমতিও দিয়েছিলেন।’’ এ দিকে বাংলা ও রেল দল মিলিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপে প্রায় পঁচিশজন বঙ্গ সন্তান নেমেছেন। অনেকেরই বিদায় হয়ে গেল হিটেই। ১০০ মিটারে দ্বিতীয় হয়ে হিমশ্রী রায়, ১৫০০ মিটারে সপ্তম স্থান পেয়ে শশীভূষণ সিংহ নিজেদের ইভেন্টে সেমিফাইনালে উঠলেন। তবে বিদায় নিলেন তিয়াশা সমাদ্দার, বনশ্রী রায়, সফিকুল মণ্ডল, সাহাবুদ্দিন মোল্লা, দেবাঞ্জন মুর্মুরা।