নজরে: ম্যান ইউয়ে আলোচনার কেন্দ্রে এখন রোনাল্ডো। ফাইল চিত্র।
জুলিয়াস সিজ়ারের ‘‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’’-এর মতোই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে দ্বিতীয় পর্বে আগমন ঘটেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। ছাত্র সম্পর্কে এমনই মূল্যায়ন স্যর আলেক্স ফার্গুসনের। যা দেখে নিজের মুগ্ধতার কথাও জানিয়েছেন কিংবদন্তি এই ম্যানেজার।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে প্রত্যাবর্তনের পরে ইতিমধ্যে চার গোল করে ফেলেছেন রোনাল্ডো। প্রত্যাবর্তনের প্রথম ম্যাচ দেখতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে উপস্থিত ছিলেন ফার্গুসন। যে ম্যাচে নিউক্যাসলের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেন এই পর্তুগিজ তারকা। এ ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইয়ং বয়েজ় এবং ইপিএলে ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে গোল করেছেন রোনাল্ডো। ২০০৩ সালে ১৮ বছর বয়সে স্পোর্টিং লিসবন থেকে ম্যান ইউয়ে রোনাল্ডোকে আনতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ফার্গুসন।
এ বার তাঁর ছাত্রের জুভেন্টাস থেকে ফের ম্যান ইউয়ে খেলতে আসা সম্পর্কে ইংল্যান্ডের পডকাস্টে এক সাক্ষাৎকারে ফার্গুসন বলেছেন, ‘‘দারুণ লাগছে। সিজ়ার যে ভাবে যুদ্ধে জিতে রোমে পা দেওয়ার পরে বলা হয়েছিল এলাম, দেখলাম, জয় করলাম—নিউক্যাসলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেও রোনাল্ডোকে সে ভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটাতে দেখলাম।’’ যোগ করেছেন, ‘‘সে দিন আমার মতো একই অনুভূতি হয়েছে মাঠে উপস্থিত সমর্থকদেরও। শুধু ওঁরাই নন। মাঠের বাইরে জমায়েত ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ম্যান সমর্থকদের প্রতিক্রিয়াও একই রকম। ছোটবেলায় যখন রোনাল্ডো প্রথম ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এসেছিল, তখন দ্রুত সব কিছু শিখে নিয়েছিল।’’ বিশ্বখ্যাত ফুটবল ম্যানেজার আরও বলেন, ‘‘অনেকে বলেছিলেন ও গোলের সামনে গিয়ে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু তাঁদের থামিয়ে দিয়ে একটা সময়ের পরে রক্ষণের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে গোল করেছে রোনাল্ডো। আক্রমণে যায় অবিশ্বাস্য গতিতে। আমার মতে, প্রবল ইচ্ছাশক্তি নিয়ে জন্মেছে ও।’’ এ দিকে, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পা দিয়েই নিজের খাদ্যতালিকা সতীর্থদের জন্যও প্রয়োগ করেছেন রোনাল্ডো। সেই মতো নাকি নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রন্ধনকর্মীকে। কিন্তু সেই খাদ্যতালিকা অনেকেরইপছন্দ হয়নি।