ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শুরুর দিকে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে গিয়ে ভরাডুবি হয়েছে। তবু সেই রাস্তা থেকে সরে আসতে নারাজ ভারতীয় দল। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, বিরাট কোহালিরা কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে তাঁদের ব্যাটিং ভঙ্গিই পাল্টে ফেলতে চাইছেন।
প্রথম ম্যাচে ভারতের সর্বোচ্চ স্কোরার (৬৭) শ্রেয়স আয়ারের কথাতেও সেই ইঙ্গিত। শ্রেয়স বলে দিচ্ছেন, ‘‘রণনীতি বদলানোর কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের ব্যাটিং গভীরতা অনেক বেশি। দলে পাওয়ারহিটার রয়েছে। একই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে মাঠে নামব।’’ যোগ করেন, ‘‘বিশ্বকাপের আগে এটাই একমাত্র টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরীক্ষা-নিরীক্ষাটাও করে নিতে হবে।’’
সাদা বলের ক্রিকেটে এত দিন কোহালিদের রণনীতি ছিল, হাতে উইকেট রেখে এগনো, শেষে গিয়ে ঝড় তোলা। অথচ, ইংল্যান্ডের মতো দল শুরু থেকে আগ্রাসী ভঙ্গি নিয়ে পঞ্চাশ ওভারে চারশো আর কুড়ি ওভারে দু’শো রানের গণ্ডি বার বার পার করে দেখাচ্ছে। এ বার ভারতও সেই পথে হাঁটতে চাইছে। স্বয়ং কোহালি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ সতর্ক ভঙ্গি ত্যাগ করে শুরু থেকে মারতে গিয়েছিলেন শুক্রবার।
ভারতীয় দল পরিচালন সমিতি ভেবে দেখেছে, শেষের ওভারগুলোতে দ্রুত রান তোলার জন্য তাদের হাতে ঋষভ পন্থ, হার্দিক পাণ্ড্য এবং রবীন্দ্র জাডেজার (ফিট হয়ে এলে) মতো আগ্রাসী ব্যাটসম্যান রয়েছে। তা হলে শুরুতে অতি সাবধানতা নেওয়ার দরকার কী? কোহালিরা বর্তমান সিরিজকে কাজে লাগাচ্ছেন নতুন এই আগ্রাসী ব্যাটিং নীতি পরখ করার জন্য।
শুক্রবারই ভারতীয় বোলারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়ে গেলেন যুজ়বেন্দ্র চহাল। টপকে গেলেন যশপ্রীত বুমরাকে। এত দিন ৫০ ম্যাচে ৫৯ শিকার নিয়ে শীর্ষে ছিলেন বুমরা। ৪৬তম ম্যাচে চহাল পৌঁছে গেলেন ৬০ উইকেটে। ওদিকে, প্রথম ম্যাচকে কেন্দ্র করে ফের লেগে গেল মাইকেল ভন ও ওয়াসিম জাফরের। টুইটারে ভন লেখেন, ‘‘ভারতীয় দলের চেয়ে বেশি শক্তিশালী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।’’ জাফরের জবাব, ‘‘কী আর করা যাবে, চারজন বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে তো নামার সুযোগ পাই না আমরা।’’ ইংল্যান্ড দলে এমন চারজন ক্রিকেটার আছেন, যাঁদের অন্য দেশের সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে। জেসন রয়ের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। বেন স্টোকস বড় হয়েছেন নিউজ়িল্যান্ডে। জফ্রা আর্চারের জন্ম বার্বেডোজ়ে। দাভিদ মালানের জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট জীবনের শুরু দক্ষিণ আফ্রিকায়।