তৃপ্ত: রবিবার রাঁচীতে সেঞ্চুরির পরে সহ-অধিনায়ক রাহানে। পিটিআই
বাবা হওয়ার পরে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন অজিঙ্ক রাহানে। দেশের মাটিতেও তিন বছর পরে শতরান এল তাঁর ব্যাটে। ২০১৬-এ ইনদওরে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮৮ রান করার পরে ভারতে সেঞ্চুরি ছিল না তাঁর। সেই খরা কাটালেন রবিবার রাঁচীতে।
৩৯-৩ থেকে রোহিত শর্মার সঙ্গে ২৬৭ রানের জুটি গড়ে দলকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকে মুক্ত করেন রাহানে। কাগিসো রাবাডা, অ্যানরিখ নর্ৎজেদের বিষাক্ত প্রথম স্পেলের সামনে কী করে রুখে দাঁড়ালেন ভারতের সহ-অধিনায়ক? দ্বিতীয় দিনের শেষে বিসিসিআই টিভিতে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে সাক্ষাৎকারে সে সব বিষয় নিয়েই মুখ খুললেন রাহানে।
মায়াঙ্ক: আজু ভাই, সেঞ্চুরির জন্য তোমাকে অভিনন্দন। বাবা হওয়ার পরে এটাই প্রথম সেঞ্চুরি। আমি নিশ্চিত, কন্যা সন্তানই তোমার ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছে!
রাহানে: সে রকম নয়। অবশ্যই বাবা হওয়ার অনুভূতি অন্য রকম। জীবনের অন্য অধ্যায় শুরু হল। রাঁচীতে আসার আগে দু’দিন আমার পরিবার ও শিশুর সঙ্গে ছিলাম। এখনই ওর অভাব অনুভব করছি। তবে সত্যি সেঞ্চুরি করার অনুভূতিও বিশেষ।
মায়াঙ্ক: তুমি যখন ব্যাট করতে গিয়েছিলে তখন স্কোর ৩৯-৩। সেখান থেকে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ালে? এটা নিয়েও আমাদের বলো।
রাহানে: ব্যাট করতে যাওয়ার সময় রোহিতের সঙ্গে আলোচনা করি, লাঞ্চের আগে যে আধ ঘণ্টা পাব, সেখানে কোনও উইকেট হারানো চলবে না। সেটাই করেছি। লাঞ্চের পরে রোহিতকে বলি, এই পিচে ২৭৫ থেকে ৩০০ রান করলেই যথেষ্ট। কিন্তু হঠাৎই দেখলাম পিচের চরিত্র একেবারে বদলে গেল। ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করতে শুরু করল। সেটাই আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।
মায়াঙ্ক: কী কথা হচ্ছিল দু’জনের?
রাহানে: আলোচনা হয়েছিল প্রতি-আক্রমণে যাওয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকা যে চাপ তৈরি করেছিল, আমাদের দায়িত্ব ছিল সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার। রোহিতও আমাকে প্রতি-আক্রমণ করার পরামর্শ দিয়েছে। ও বলেছিল, একেবারে নিজের খেলাটা খেলতে। সেটাই আমার আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ করে দিয়েছিল। তার পর থেকে ঝুঁকি নেওয়ার সাহস পাই। দ্রুত রান করতে শুরু করি।
মায়াঙ্ক: অসাধারণ শুরু করেছিলে। প্রথম বল বাউন্ডারি। যা ড্রেসিংরুমে চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিল। ৩৯-৩ থেকে রোহিতের সঙ্গে অসাধারণ জুটি গড়লে। প্রায় ২৫০ রানেরও বেশি। সেই পার্টনারশিপ নিয়ে কিছু বলো!
রাহানে: আমাদের জুটির মূল রসদ কিন্তু বোঝাপড়া। বুঝেছিলাম রাঁচীতে ম্যাচ হলে প্রত্যেক দিনই সময় নষ্ট হবে। এখানে সাড়ে তিনটে থেকে চারটের মধ্যে অন্ধকার হয়ে যায়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যে হেতু পয়েন্ট নষ্ট করার কোনও জায়গা নেই, তাই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতেই হয়। সেটার জন্যই আমি আর রোহিত ঝুঁকি নিয়ে দ্রুত দলের রান যোগ করার চেষ্টা করি। যত দ্রুত রান যোগ করব, ততই বিপক্ষকে অলআউট করার সময় বেশি পাব। এই পরিকল্পনা নিয়েই ব্যাট করেছি দু’জনে।