জাতীয় দলের হয়ে স্বপ্নের অভিষেক ঘটেছে বাইশ গজে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স সাহায্য করেছে দেশকে ৭ উইেকেট জয় পেতে। তাঁর ২৮ বলে অর্ধশতরানই ছিল ম্যাচের চুম্বক। ভারতের ক্রিকেট আকাশে নতুন তারা ঈশান কিষাণ সকলের নজরের কেন্দ্রে। তাঁর সঙ্গেই ভাসছে অদিতি হুন্ডিয়ার নামও। মাঠের বাইরে এই সুন্দরীর কাছেই নাকি ‘ক্লিন বোল্ড’ তরুণ তুর্কি।
ফ্যাশন এবং গ্ল্যামারের দুনিয়ায় অদিতি পরিচিত নাম। ২০১৬ সালে তিনি ‘মিস রাজস্থান’ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান পান।
মরুরাজ্যের এই সুন্দরী পরে অংশ নিয়েছিলেন ২০১৭ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’-র মঞ্চে। বিজয়িনী হতে না পারলেও তিনি নজর কেড়েছিলেন।
২০১৮ সালে পোল্যান্ডে ‘মিস ডিভা’ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় তিনি ‘মিস সুপারন্যাচারাল’-এর শিরোপা পেয়েছিলেন।
খেলার মাঠে অদিতি শিরোনামে আসেন ২০১৯ সালে। আইপিএল ফাইনালে সে বার মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। গ্যালারিতে ছিলেন অদিতি। প্রচারের সব আলো শুষে নিয়েছিলেন এই সুন্দরী।
রাজস্থানের জয়পুরে অদিতির জন্ম ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি। তাঁর বাবার নাম ললিত। মা, ববিতা। ভাই যশের সঙ্গে অদিতির শৈশব কেটেছে গোলাপি শহরের অলিগলিতে।
ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরে অদিতির বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে পড়াশোনা জয়পুরের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে।
ঈশান-অদিতির প্রেমপর্বের বয়স ২ বছর পেরিয়েছে। নেটমাধ্যমে একে অপরকে নিয়ে পোস্ট করতে তাঁরা স্বচ্ছন্দ।
ক্রিকেট মাঠে ঈশানের সাফল্য এবং ব্যর্থতার পাশে থেকেছেন অদিতি। ঈশান ব্যর্থ হলেও অদিতি নেটমাধ্যমে লিখেছেন, তিনি তাঁর জন্য গর্বিত।
তবে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঈশানের পাশাপাশি অদিতির পছন্দের ক্রিকেটার বিরাট কোহালী এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
অদিতি জানিয়েছেন, তিনি ক্রিকেট দেখতে ভালবাসেন। তবে, পরিচিত হতে চান মডেল বা সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার প্রতিযোগী রূপেই। কোনও বিশেষ আইপিএল দলের অনুরাগী হিসেবে নয়।
নেটমাধ্যমে জনপ্রিয় অদিতির আপাতত অভিনয়ের ইচ্ছে নেই। তবে যদি ভবিষ্যতে সুযোগ পান, তিনি নারীকেন্দ্রিক কোনও ছবিতে অভিনয় করতে রাজি।
নেটমাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় হলেও অদিতি প্রকাশ্যে ঈশানের নাম স্বীকার করেন না। বরং বলেন, ‘বিশেষ কোনও বন্ধুর’ জন্যই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ভক্তদের মধ্যে তাঁকে দেখা যায়।
প্রেম-সহ ব্যক্তিগত জীবনের অন্যান্য পরিসর গোপন রাখতেই ভালবাসেন সুন্দরী অদিতি।