বিস্ফোরক ইনিংসের পর হাসিমুখে প্রতীক রাই। নিজস্ব চিত্র।
বয়স মাত্র ১৬। এত কম বয়সেই জেসি মুখার্জি ট্রফিতে দ্বিশতরান করে ফেলল প্রতীক রাই। বুধবার দেশপ্রিয় পার্কে সালকিয়া ফ্রেন্ডসের বিরুদ্ধে মাত্র ১৩৯ বলে ২২০ রানের ইনিংস খেলল এই তরুণ। ওর এই বিস্ফোরক ইনিংসের জন্যই প্রতীকের দল গ্রিয়ার স্পোর্টিং ক্লাব ৪৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩৬০ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় সালকিয়া ফ্রেন্ডস। ফলে ২২২ রানে জয় পেল গ্রিয়ার।
সপ্তম শ্রেণীতেই লেখাপড়ার পাঠ চুকে গিয়েছে। বছর সাত আগে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর থেকে বাবা অমরেশ রাইয়ের সঙ্গে কলকাতায় চলে আসে এই তরুণ। বর্তমান ঠিকানা লেক গার্ডেন্স। যদিও আর পাঁচটা ছেলের মত ছোটবেলা থেকে ক্রিকেটের প্রতি টান ছিল। কিন্তু পেট বড় বালাই। তাই বাবার সঙ্গে ব্যবসার কাজে নেমে পড়ে প্রতীক। কিন্তু ছেলেটার ইচ্ছে ও অদম্য জেদ দেখে ওকে ফের মাঠমুখী করেন কোচ বিবস্বত কুমার মজুমদার। সেই ক্যালকাটা ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ওর ব্যাট-বলের যুদ্ধের পাঠ নেওয়া শুরু।
এ দিন সিজান হোসেনকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৩১৪ রান যোগ করে প্রতীক। সিজান ১০৬ রান করে ফিরে গেলেও, প্রতীকের ব্যাটিং বিস্ফোরণ বজায় ছিল। অবশেষে ১৩৯ বলে ২২০ রান করে থামল এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১৭টি বাউন্ডারি ও ১৪টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। ম্যাচের শেষে এই উইকেট রক্ষক-ব্যাটসম্যান বলছিল, “এবি ডেভিলিয়ার্স আমার আদর্শ। সময় পেলেই ইউ টিউবে ওঁর ব্যাটিং দেখি। গত মরসুম তেমন সুযোগ পাইনি। এ বার দুটো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও চোটের জন্য ব্যাট করতে পারিনি। তাই এই ইনিংসের পর বেশ ভাল লাগছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভবিষ্যতে বাংলার হয়ে খেলতে চাই। তবে একই সঙ্গে লেখাপড়া ফের করার ইচ্ছে আছে।”
বিবস্বত কুমার মজুমদার তাঁর ছাত্রকে নিয়ে আশাবাদী। বলছিলেন, “ব্যাটিংয়ের টেকনিক তেমন ভাল নয়। আরও উন্নতি দরকার। তবে ও খুব লড়াকু ও কঠিন মানসিকতার ছেলে। মাথা ঠিক রাখতে পারলে প্রতীক অনেক দূর যাবে।”