ঘূর্ণি পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই মেজাজ হারালেন ভারত অধিনায়ক। ফাইল চিত্র
চিপকের পর নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের বাইশ গজ নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। ৪ মার্চ থেকে শুরু হতে চলা সিরিজের শেষ টেস্টের আগেও সেই বিতর্কের আঁচ সাংবাদিক সম্মেলনে এসে পড়ল। তাই আর শান্ত থাকতে পারলেন না ভারত অধিনায়ক। একরাশ ক্ষোভ দেখিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরাট কোহালি।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমের দিকে আঙুল তুলে কোহালি বলেন, “ঘূর্ণি পিচ নিয়ে বড্ড বেশি কথা হচ্ছে। আমাদের দেশে ঘূর্ণি পিচেই খেলা উচিত। সেটা দেশের গণ মাধম্যের প্রচার করাও উচিত।” এরপরেই তিনি যোগ করেছেন, “দেশে ও বিদেশে আমাদের দলের সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারণ হল পিচ নিয়ে বাড়তি আলোচনা করি না। কিংবা কেমন পিচ হওয়া উচিত সেটা নিয়ে কাউকে বাধা দিতে যাই না। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিজেদের খেলার উন্নতি করার চেষ্টা করে যাই।”
বিরাটের এগিয়ে যাওয়ার মূল মন্ত্র যে আগ্রাসন সেটা সবার জানা। তবে এদিন যে ভারত অধিনায়ককে থামানোই যাচ্ছিল না। এ বার তিনি ২০২০ সালের গোড়ার দিকে নিউজিল্যান্ড সফরের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন। সেই সিরিজে ০-২ ব্যবাধানে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। ওয়েলিংটনের প্রথম টেস্ট চতুর্থদিন মধ্যাহ্ন ভোজের আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে প্রথমদিন বৃষ্টির জন্য অনেকক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। সেই টেস্টে ১০ উইকেটে হেরেছিল ভারত। তবে ক্রাইস্টচার্চ দ্বিতীয় টেস্ট তিন দিনের আগেই শেষ হয়ে যায়। সেখানে ৭ উইকেটে হেরে যায় ভারত।
সেই সফরের উদাহরণ টেনে কোহালির বিস্ফোরক মন্তব্য, “সেই সফরে জোড়া টেস্ট হারের পর আমাদের ব্যর্থতা নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে কেমন ধরনের পিচে আমাদের খেলতে হয়েছে সেই বিষয়ে একটা শব্দও লিখেছেন? পিচে বল ঘুরলেই সবাই একজোট হয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেন। কিন্তু বিদেশে পিচ ঠিক মত তৈরি না হওয়ার জন্য বল আচমকা লাফিয়ে ওঠে। কোনও বল আবার নিচু হয়ে যায়। ফলে অনেক দল ৪০-৫০ রানের মধ্যে গুটিয়ে গিয়েছে। তখন বিদেশের পিচ নিয়ে কাউকে লিখতে দেখি না। আশা করি পরবর্তী সময় ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডে সফরে গেলে আপনারা পিচ নিয়ে প্রশ্ন করবেন। তাই ঘরের মাঠে ঘূর্ণি পিচে দুটো টেস্ট জিততেই এমন প্রশ্ন উঠলেও সেটা কাম্য নয়।”
শেষে যোগ করলেন, “একটা প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন? বিপক্ষ দল পাঁচদিন পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিয়ে যেতে পারে সেই ভাবে খেলব? না জেতার জন্য শুরু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ব? আমাদের কোনটা করা উচিত?”