ঘটনার আগের দিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারেই ছিলেন লিয়েন্ডার। —ফাইল চিত্র
২০ বছর আগের একটি ঘটনা গোটা বিশ্বকে হতভম্ব করে দিয়েছিল। ২০০১ সালে ৯ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে যে জঙ্গি আক্রমণ হয়েছিল তাতে খেলোয়াড়দের জীবনেও বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছিল। বিমানে করে শ্যুটারদের বন্দুক নিয়ে যাওয়ার নিয়মে আরও কড়াকড়ি করা হয়। টেনিস খেলোয়াড়রা র্যাকেট নিয়ে বিমানের কেবিনে ঢুকতে সমস্যায় পড়েন। সব চেয়ে বড় বিপদ ঘটতে পারত লিয়েন্ডার পেজের জীবনে। ঘটনার আগের দিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারেই ছিলেন ভারতীয় টেনিস তারকা।
নিউ ইয়র্ক থেকে বেশ নির্বিঘ্নেই ফ্র্যাঙ্কফুর্ট পৌঁছে ছিলেন লিয়েন্ডার। কিন্তু সেখানে জার্মান সুরক্ষাবাহিনী ঢুকে পড়ে বিমানের ভিতর। এমন ঘটনা দেখেননি তিনি। বিমান থেকে নামার আগে প্রত্যেককে পরীক্ষা করা হয়। লিয়েন্ডার এক আধিকারিককে জিজ্ঞেস করেছিলেন কেন এই কড়াকড়ি? ভারতের টেনিস তারকা বলেন, “সুরক্ষাবাহিনীর প্রধান আমাকে নিয়ে গিয়ে অফিসে টিভি-র সামনে বসিয়ে দিয়েছিলেন।”
ঘটনার আগের দিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারেই ছিলেন লিয়েন্ডার। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে বিমানবন্দরে আসেন। ঘটনার কথা আগে জানতেন না। লিয়েন্ডার বলেন, “অফিসে বসেই আমি প্রথম দেখি টাওয়ার দুটো ভেঙে পড়ছে।
সেই সময় লিয়েন্ডারের পাশে ছিলেন মহেশ ভূপতি। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার থেকে কিছুটা দূরে তাঁর নিউ ইয়র্কের বাড়ি। সে বারের ইউএস ওপেনে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল লিয়েন্ডার-মহেশের জুটি। সেই মাসের শেষে ছিল ডেভিস কাপের ম্যাচ। মহেশ বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম বিমান দুর্ঘটনা। তার পর দেখি আরও একটি বিমান টাওয়ারের ভিতরে ঢুকে গেল। বেশ ভয় করছিল। আমাদের বেশ কিছু বন্ধু আটকে পড়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে।”
২০ বছর আগের সেই ঘটনার স্মৃতি আজও লিয়েন্ডারদের মনে টাটকা। সেই ভয়ঙ্কর দিন নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকেই। বাদ যাননি খেলোয়াড়রাও।