এলগার ও ডি’ কক ভারতীয় বোলারদের বিষ শুষে নিলেন। ছবি: এএফপি।
ডিন এলগার ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন। কুইন্টন ডি’ ককও একই রাস্তা নিলেন। ৯৭ থেকে ছক্কা মেরে শতরান করলেন প্রোটিয়া উইকেট কিপার। এলগার ও ডি’ ককের জোড়া শতরানে দক্ষিণ আফ্রিকা দিনান্তে করল ৮ উইকেটে ৩৮৫ রান। প্রথম ইনিংসে ভারত ৫০২ রানে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল। তৃতীয় দিনের শেষে প্রোটিয়ারা ১১৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে। হাতে রয়েছে দু’টি উইকেট।
এক সময়ে ভারতের ক্রিকেটভক্তরা মনে করেছিলেন, রবিচন্দ্রন অশ্বিন-মহম্মদ সামিদের দাপটে দ্রুত ভেঙে পড়বে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইন আপ। কিন্তু, দিন যত গড়াল, দক্ষিণ আফ্রিকা খাদের কিনারা থেকে নিজেদের গুছিয়ে ফেলল। ভারতীয় বোলারদের যাবতীয় বিষ শুষে নিয়ে এলগার ১৬০ রানে আউট হন। দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার আউট হয়ে গেলেও কুইন্টন ডি’ কক স্বমেজাজে ব্যাট করেন। অশ্বিনের ম্যাজিকে শেষ মেশ বোল্ড হন ডি’ কক (১১১)। অশ্বিনের বলটা বুঝতেই পারেননি ডি’ কক। আউট হওয়ার পর ডি’ ককের চোখে মুখে ছিল অবিশ্বাস। অশ্বিন দেখিয়ে দিলেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। এ দিন পাঁচটি উইকেট নেন তিনি।
দ্বিতীয় দিনের শেষে এলগার ও বাভুমা ক্রিজে ছিলেন। তৃতীয় দিন সকালেই ইশান্ত শর্মা ফেরান বাভুমাকে (১৮)। প্রোটিয়াদের রান তখন চার উইকেটে ৬৩। গতদিনেই দক্ষিণ আফ্রিকার তিন-তিনটি উইকেট ফেলে দিয়েছিলেন ভারতীয় বোলাররা।
এ দিন সকাল থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে আরও কোণঠাসা করতে চেয়েছিল ভারত। এরকম পরিস্থিতিতে প্রোটিয়াদের লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা শুরু করেন এলগার ও দু’ প্লেসি। ৬৩-৪ থেকে লাঞ্চের সময় দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর চার উইকেটে ১৫৩। লাঞ্চের পরে দু’ প্লেসি ৫৫ রানে ফিরে যান। তার পরেও দ্রুত ভেঙে পড়তে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু, এলগারকে থামানো যায়নি। পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন তিনি। অশ্বিনকে গ্যালারিতে ফেলে সেঞ্চুরি করেন। এলগারকে ১৬০ রানে ফেরান রবীন্দ্র জাডেজা। এলগারের আগে ২০১০ সালের সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা সেঞ্চুরি করেছিলেন। তার পরে কোনও প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানই ভারতের মাটিতে শতরান পাননি। এ দিন নতুন নজির গড়লেন এলগার ও ডি’ কক। দু’ জনেই সেঞ্চুরি করলেন। সেই সঙ্গে দলকে নিয়ে গেলেন ভাল জায়গায়।