চরণজিৎ সিংহ। ফাইল ছবি
ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক চরণজিৎ সিংহ প্রয়াত। ১৯৬৪ টোকিও অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন চরণজিৎ। দীর্ঘ দিন বিভিন্ন রোগে ভোগার পর হিমাচল প্রদেশের উনায় নিজের বাড়িতেই বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। আগামী মাসেই তাঁর জন্মদিন ছিল। তাঁর দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছেন।
পাঁচ বছর আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন চরণজিৎ। তখন থেকেই তিনি কর্মক্ষমতাহীন। তাঁর ছোট ছেলে ভিপি সিংহ সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “পাঁচ বছর আগে স্ট্রোক হওয়ার পর থেকেই বাবা সে ভাবে নড়াচড়া করতে পারতেন না। আগে তবু লাঠি নিয়ে হাঁটাচলা করতেন। তবে গত দু’মাসে তাঁর শরীর খুবই খারাপ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি প্রয়াত হয়েছেন।”
১৯৬৪ সালের সোনাজয়ী দলের অধিনায়ক হওয়া ছাড়াও, তার আগে ১৯৬০ রোম অলিম্পিক্সে রুপোজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬২-র এশিয়ান গেমসে রুপোজয়ী দলেও তিনি ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ১২ বছর আগে প্রয়াত হন। বড় ছেলে কানাডায় ডাক্তারি করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
দেরাদুনের কলোনেল ব্রাউন কেমব্রিজ স্কুলের ছাত্র ছিলেন চরণজিৎ। এর পর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরশিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৬০ অলিম্পিক্সে দুর্দান্ত খেলার পর ফাইনালে চোটের কারণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি। সেই ম্যাচে ০-১ গোলে হেরে যায় ভারত। চার বছর পরেই তাঁর নেতৃত্বে মধুর প্রতিশোধ নেয় ভারত। একই ফলাফলে ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা।
গত বছর টোকিয়ো অলিম্পিক্সের আগে হকি ইন্ডিয়ার আয়োজিত একটি সিরিজে তিনি বলেছিলেন, “সেই সময় ভারত এবং পাকিস্তান দুটোই শক্তিশালী দল ছিল। ওদের বিরুদ্ধে খেলা বরাবরই কঠিন ছিল। অলিম্পিক্সের ফাইনালের দিন আমি ছেলেদের বলেছিলাম সময় নষ্ট না করে খেলায় মনোনিবেশ করতে। দুর্দান্ত খেলে আমরা ম্যাচটা জিতি।”