ড্রয়ের পর হাত মেলাচ্ছেন চিনের ডিং লিরেন (বাঁ দিকে) ও ভারতের ডি গুকেশ। বুধবার, দাবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে। ছবি: পিটিআই।
সুযোগ ছিল ডি গুকেশের। সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গত দু’টি ম্যাচে ফল হয়েছিল। কিন্তু ১৩তম ম্যাচ ড্র হল। ফলে গুকেশ ও ডিং লিরেন দু’জনেরই পয়েন্ট ৬.৫। বাকি রয়েছে আর একটি ম্যাচ। সেই ম্যাচও ড্র হলে প্রতিযোগিতার ফয়সালা হবে টাইব্রেকারে।
১১তম ম্যাচ সাদা ঘুঁটি নিয়ে জিতেছিলেন গুকেশ। ১২তম ম্যাচ সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলে জেতেন লিরেন। ১৩তম ম্যাচে কেউ জিততে পারলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যেতেন। কিন্তু তা হল না। ৫ ঘণ্টা ধরে লড়াই হল দুই প্রতিযোগীর। শেষ পর্যন্ত ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁদের।
এই ম্যাচে গুকেশের প্রথম চালের পাল্টা ফ্রেঞ্চ ডিফেন্স দিয়ে শুরু করেন লিরেন। প্রথম ম্যাচে এই ফ্রেঞ্চ ডিফেন্স দিয়ে শুরু করেই জিতেছিলেন লিরেন। কিন্তু এই ম্যাচে গুকেশ প্রস্তুত ছিলেন। তিনি আক্রমণাত্মক খেলছিলেন। ফলে লিরেনকে চালের আগে অনেকটা সময় লাগছিল ভাবতে। প্রথম আটটি চালের জন্য মাত্র ৫৫ সেকেন্ড সময় নেন গুকেশ। সেখানে লিরেন নেন ১ ঘণ্টা ৪ মিনিট। চিন্তার ছাপ ফুটে উঠছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিরেনের কপালে।
২৪ চালের পর গুকেশের জয়ের সম্ভাবনা ছিল ৫২.৮ শতাংশ। সেখানে লিরেনের জেতার সম্ভাবনা ছিল মাত্র ৫.৪ শতাংশ। প্রথম ৪০টি চালের মধ্যে শেষ ৮ মিনিটে লিরেনকে ১২টি চাল দিতে হত। কোনও রকমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৪০টি চাল শেষ করেন চিনের লিরেন। ফলে খেলা গড়ায় পরের ধাপে। সেখানেও গুকেশ আক্রমণাত্মক খেলছিলেন। পাল্টা লিরেনের খেলা রক্ষণাত্মকই ছিল। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, ড্রয়ের জন্য খেলছেন লিরেন। গুকেশ অনেক চেষ্টা করেন খেলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু একটা সময়ের পর তাঁর কাছেও কোনও সুযোগ ছিল না জেতার। ফলে দুই প্রতিযোগী ড্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
দাবার বিশ্বযুদ্ধে ১৩টি ম্যাচের মধ্যে গুকেশ ও লিরেন দু’জনেই দু’টি করে ম্যাচ জিতেছেন। বাকি ন’টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলবেন লিরেন। ফলে তিনি কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবেন। শেষ ম্যাচও যদি ড্র হয় তা হলে শুক্রবার টাইব্রেকারে ফলাফল ঠিক হবে।