ISL 2020-21

আইএসএলের দশটি দল দিল জার্সির নকশা, নেই লাল-হলুদ

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ভিডিয়ো গেম প্রস্তুতকারক সংস্থা আইএসএলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে।

Advertisement

শুভজিৎ মজুমদার 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২০ ০৬:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি

আসন্ন মরসুমের আইএসএলের জন্য দশটি দল জার্সির নকশা পাঠিয়ে দিল প্রতিযোগিতার আয়োজকদের কাছে। সোমবার রাত পর্যন্ত যা খবর, সেই তালিকায় ইস্টবেঙ্গল নেই। কলকাতার একমাত্র ক্লাব হিসেবে রয়েছে এটিকে-মোহনবাগান।

Advertisement

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ভিডিয়ো গেম প্রস্তুতকারক সংস্থা আইএসএলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। লিয়োনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের সঙ্গে এ বার এই ভিডিয়ো গেমে দেখা যাবে সুনীল ছেত্রী, সুব্রত পালদের মতো ভারতীয় তারকাদেরও। এই কারণেই ১০ অগস্টের মধ্যে দশটি দলকে তাদের তিন ধরনের জার্সি (হোম, অ্যাওয়ে ও নিরপেক্ষ) জমা দিতে বলা হয়। সেই তালিকায় ইস্টবেঙ্গলের নাম ছিল না। তবু একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা থাকছিল, যদি শেষ মুহূর্তে কিছু ঘটে। কিন্তু জার্সির নকশা জমা পড়ার মধ্যেও লাল-হলুদ ক্লাব না থাকায় সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হল।

সম্প্রতি ইস্টবেঙ্গলের তরফে সমর্থকদের কাছে নতুন মরসুমের জার্সির নকশা জমা দেওয়ার আবেদন করা হয়। এর পরেই চাউর হয়ে যায় যে, আইএসএলে খেলার জন্য ইস্টবেঙ্গল জার্সির নকশা পাঠাচ্ছে। নতুন বিনিয়োগকারী চূড়ান্ত না হওয়া সত্ত্বেও আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা। কিন্তু কর্তাদের গাফিলতি এবং ব্যর্থতায় এ বছরও আইএসএলে সমর্থকেরা তাঁদের প্রিয় লাল-হলুদ ক্লাবকে দেখতে পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ক্রমশ বাড়ছে। লগ্নিকারী সংস্থা বিদায় নেওয়ার পরে কর্তারা নানা দাবি করে গেলেও সোমবার পর্যন্ত নতুন লগ্নিকারী চূড়ান্ত হওয়ার কোনও নিশ্চিত খবর নেই।

Advertisement

আইএসএল আয়োজনের দায়িত্বে থাকা কর্তাদের স্পষ্ট কথা, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের জার্সি জমা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমাদের কানে কিছু পৌঁছয়নি। সপ্তম আইএসএলে যে দশটি দল খেলবে, তাদের তিন ধরনের জার্সির নকশা জমা দিতে বলা হয়েছিল ১০ অগস্টের মধ্যে। সবাই সোমবারই তা পাঠিয়ে দিয়েছে।’’ বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, রাতারাতি কোনও নাটকীয় পরিবর্তন না ঘটলে এ বছরের মতো আইএসএলে খেলার সম্ভাবনা কার্যত শেষ ইস্টবেঙ্গলের।

ভক্তদের কাছে সেক্ষেত্রে বড় ধাক্কাই হতে যাচ্ছে, কারণ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আইএসএলে খেলবে। যার অর্থ, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডার্বির ভবিষ্যৎও অন্ধকারে। দু’টি দল যদি দুই লিগে খেলে, তা হলে বাঙালির ঐতিহ্য ডার্বি হবে শুধুই কলকাতা লিগে।

আইএসএলে খেলার প্রধান শর্ত হচ্ছে, আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। লগ্নিকারী সঙ্গে না থাকলে যে শর্ত পূরণ করা কঠিন। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে নানা সংস্থার কথাবার্তা চললেও চূড়ান্ত রূপ নেয়নি। আগের লগ্নিকারীর মাঝপথে রণে ভঙ্গ দিয়ে বিদায় নেওয়া অবশ্যই ভাল বিজ্ঞাপন হয়ে থাকছে না লাল-হলুদের জন্য।

জার্সির নকশা জমা দেওয়ার দিনেই কার্যত চূড়ান্ত হয়ে গেল এ বার আইএসএলের আসর বসতে চলেছে গোয়ায়। সোমবারই মুম্বই থেকে আইএসএলের একটি প্রতিনিধি দল দিন তিনেকের জন্য গোয়া গিয়েছে। স্টেডিয়াম, অনুশীলনের মাঠ থেকে ফুটবলারেরা কোন কোন হোটেলে থাকবেন— সব কিছু খুঁটিয়ে দেখবেন তাঁরা। বৈঠক করবেন গোয়া সরকার ও সেখানকার ফুটবল ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। এর পরেই সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হবে সপ্তম আইএসএলের কেন্দ্রের নাম। ২০ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে আইএসএল শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ৩১ অগস্ট চূড়ান্ত ক্রীড়াসূচি প্রকাশ হওয়ার পরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে প্রথম ম্যাচ কবে হবে।

এ দিকে, সোমবারই এটিকে-মোহনবাগানের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করলেন শেখ সাহিল। গত মরসুমে মোহনবাগানের আই লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন এই বাঙালি মিডফিল্ডার। একই দিনে মুম্বই সিটি এফসি ছাড়লেন শুভাশিস বসু। জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডারের এটিকে-মোহনবাগানের হয়ে খেলার সম্ভাবনা প্রবল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement