এই দশরের ১০টি জনপ্রিয় অ্যাপের তালিকা। ছটি: শাটারস্টক।
এই দশকের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছি আমরা। গোটা দশকের হিসেব নিকেশের সময়। সেই হিসেব চলছে প্রযুক্তির দুনিয়াতেও। ‘অ্যাপ অ্যানি’ নামে একটি সংস্থা এই দশকের সব থেকে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপ্লিকেশনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
মোবাইল মার্কেট ডেটা এবং অ্যানালিটিকস ফার্ম ‘অ্যাপ অ্যানি’ ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। মার্কিন এই সংস্থার প্রধান অফিসসান ফ্রানসিস্কোতে। অ্যাপ অ্যানি ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে অ্যাপগুলি সব থেকে বেশি ডাউনলোড হয়েছে তার প্রথম ১০টির তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটা দেখলে বলতেই হবে এই দশক ছিল সত্যিকারে ‘সোশ্যাল মিডিয়ার দশক’।
একবার চোখ বুলিয়ে নিন সব থেকে বেশি ডাউনলোড হওয়ার ১০টি অ্যাপের তালিকায়।
১০. টুইটার: ২০০৬ সালে লঞ্চ করে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটার। ২৮০ ক্যারেক্টারের মধ্যে রাখতে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যে কোনও পোষ্ট। ছবিও পোস্ট করা যায়। এখন সরকারিভাবে কিছু বলার সময় এই প্ল্যাটফর্মকে অনেকে ব্যবহার করেন।
৯. ইউটিউব: গুগলের এই প্ল্যাটফর্মটি ভিডিয়ো শেয়ারের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি অ্যাপ।২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি লঞ্চ করে ইউটিউব। তারপর থেকে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।
৮. ইউসি ব্রাউজার: চিনের আলিবাবা গ্রুপের এই ব্রাউজিং অ্যাপ তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করছে। এশিয়ার কিছু এলাকায় গুগল ক্রোমের থেকেও ইউসি ব্রাউজার বেশি ব্যবহার হয়। এমনটাই জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
৭. টিকটক: ২০১৭ সালে চিনের বাইরের বাজারে আসে এই অ্যাপ। তারপর থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভিডিয়ো শেয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি। এই অ্যাপে ভিডিয়ো এডিটও করা যায়।বাইটড্যান্স নামে এক সংস্থার অ্যাপটি তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে।
৬. স্কাইপ: এই টেলিকমিউনিকেশন অ্যাপ্লিকেশনটি তালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করেছে। মূলত ভিডিয়ো ও ভয়েস কলিংয়ের জন্য ব্যবহার এই অ্যাপটি। হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক মেসেঞ্জারের থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে এই অ্যাপটি। ওই দু’টি অ্যাপেও একই সুবিধা পাওয়া যায়।
৫. স্ন্যাপচ্যাট:২০১১ সালেবাজারে আসে এই অ্যাপ। ফটো শেয়ার ও এটিডিং করা যায় এই চ্যাটিং অ্যাপে।
৪. ইনস্টাগ্রাম: ফেসবুকের এই অ্যাপটি সেলিব্রিটিদের পছন্দের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে। ২০১০ সালে লঞ্চ করে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম। এতে মূলত ছবি, ভিডিয়ো শেয়ার হয়। অন্য অনেক ছবি শেয়ারিং অ্যাপের তুলানায় ইনস্টাগ্রামে ছবির কোয়ালিটি অনেক ভাল হয়। ২০১৮ সালে জুনে ইনস্টাগ্রামের মাসিক ইউজারের সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়।
৩. হোয়াটঅ্যাপ: ফেসবুকের সঙ্গে এই নিঃশ্বাসে যে অ্যাপটির নাম নেওয়া হয় সেটি হল হোয়াটসঅ্যাপ। টেক্সট ছাড়াও অডিও, ভিডিয়ো, ছবি, ডকুমেন্ট ফাইল সেন্ড করা যায় এই প্ল্যাটফর্মে। প্রতিদিন এর ইউজারের সংখ্যা বাড়ছে। প্রায়ই নতুন নতুন ফিচার যোগ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে।
২. ফেসবুক মেসেঞ্জার: হোয়াসঅ্যাপের থেকেও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপটি। ২০১১ সালে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস প্ল্যাটফর্মে লঞ্চ করে। ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় থাকা যে কেউ এই অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
১.ফেসবুক: তালিকার শীর্ষ স্থান নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়। তালিকার সবার উপরে যথারীতি রয়েছে ফেসবুক। গুগলের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম অর্কুট-কে এতটাই টক্কর দিতে শুরু করে যে, শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় সেটি। তবে প্রথমে ফেসবুক এতটা জনপ্রিয় হয়নি। ২০০৪ সালে প্রথম বাজারে আসে ফেসবুক। পরে নিজের খোল-নলচে বদলে লঞ্চ করার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ফেসবুককে। অ্যাপের যুগ শুরু হওয়ার পর ফেসবুকের আরও বিস্তার ঘটে।২০১৯-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা ২৪৫ কোটির বেশি। যা প্রতিদিন বাড়ছে।
এর মধ্যে বেশিরভাগ অ্যাপই আপনার মোবাইলে হয়তো রয়েছে। যদি না থাকে তবে একবার ডাউনলোড করে ট্রাই করতে পারেন।