-প্রতীকী ছবি।
মহাকাশচারী হওয়ার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে ইউরোপে। পাঠানো হচ্ছে হাজারে হাজারে আবেদনপত্র। নারী, পুরুষ নির্বিশেষে।
এক বার মহাকাশে ঘুরে আসার জন্য সাড়া পড়ে গিয়েছে গোটা ইউরোপে। মহাকাশে ‘কে যাবি আয় আয় আয়’-গোছের অবস্থা! মহাকাশচারী হওয়ার জন্য ইচ্ছুকদের ধৈর্যের বাঁধ যাতে না ভেঙে যায় তার জন্য এখন হিমসিম খেতে হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (এসা)’-কে। এক সপ্তাহে জমা পড়েছে ২৩ হাজারেরও বেশি আবেদনপত্র।
মহাকাশে আমজনতাকে নিয়ে যাওয়ার ডাক যে দিয়েছিল এসা-ই। জানিয়েছিল, মহাকাশচারী হওয়ার ইচ্ছা থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক যে কেউ তাদের কাছে আবেদন জানাতে পারেন। যোগ্যতার কয়েকটি শর্ত অবশ্য সেই ডাকের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। ঠিক করা দেওয়া হয়েছিল শরীরের মাপজোক, শারীরিক সক্ষমতার মাপকাঠি। তার আগে যাঁরা বিশেষ ভাবে সক্ষম, তাঁদেরও মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার (‘প্যারাঅ্যাস্ট্রোনট্স’) ডাক দিয়েছিল এসা। সেই সব আবেদনপত্র জমা পড়ার শেষ দিন ছিল ১৮ জুন।
তার পরেই শুরু হয় আমজনতার আবেদনপত্রগুলি জমা নেওয়া। যার বন্যায় এখন কার্যত ভেসে যাচ্ছে এসা।
এসা-র তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, হাজার হাজার আবেদনকারী ইমেল পাঠিয়ে, টেলিফোন করে জানতে চাইছেন কবে তাঁরা জানতে পারবেন মনোনীত হয়েছেন, নাকি বাতিল হয়ে গিয়েছেন বাছাইয়ের প্রাথমিক পর্বেই।
এসা-র ইউরোপিয়ান অ্যাস্ট্রোনট সেন্টারের স্পেস মেডিসিন বিভাগের প্রধান গ্যুয়েম ভির্ৎজ বলেছেন, “প্রতিটি আবেদনপত্রই অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহেই ২৩ হাজারেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। প্রাথমিক ভাবে যাঁদের বেছে নেওয়া হবে, তাঁদের আলাদা আলাদা ভাবে জানাতে নভেম্বর গড়িয়ে যাবে।”
এর আগে ২০০৮ সালে শেষ বার মহাকাশচারী হওয়ার জন্য ডাক দিয়েছিল এসা। সে বার মোট ৮ হাজার ৪১৩টি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল।
এসা-র হিউম্যান রিসোর্সেস বিজনেজ পার্টনার বিভাগের তরফে আঁতোনেলা কোস্তা বলেছেন, “বেশ কিছু আবেদনপত্র বাতিল করতে হয়েছে যোগ্যতার শর্তাবলি পূরণ হয়নি বলে। তবে যত আবেদনপত্র জমা পড়েছে, তার ৮০ শতাংশই সঠিক। যেমন চাওয়া হয়েছিল, সেই সব যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই। এ বার সেখান থেকে প্রাথমিক ভাবে মহাকাশচারী বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু হয়ে যেতে পারে।”