চলছে ডায়াবিটিস রোগীর চিকিৎসা। -ফাইল ছবি।
টাইপ-টু ডায়াবিটিস নিরাময়ের পথ দেখালেন বিজ্ঞানীরা।
এখন টাইপ-টু ডায়াবিটিস ধরা পড়ার পর চিকিৎসকরা ইনসুলিন-সহ নানা রকমের ওষুধ দিয়ে রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কোনও ওষুধই আর তেমন কাজ করে না।
এ বার শরীরের অস্বাভাবিক স্থূলত্বের পরিমাপ করেই চিকিৎসকরা যাতে টাইপ-টু ডায়াবিটিসের আঁচ পেতে পারেন আগেই আর তা রোখার চিকিৎসা শুরু করতে পারেন আমেরিকার আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সেই পথের হদিশ দিলেন। যৌথ গবেষণায়। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘সেল রিপোর্টস’-এ। বিশ্বে এখন টাইপ-ওয়ান এর চেয়ে ২৪ গুণ রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন টাইপ-টু ডায়াবিটিসে। যা পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়।
অস্বাভাবিক স্থূলত্ব যে টাইপ-টু ডায়াবিটিসের একটি অন্যতম কারণ তা বিজ্ঞানীদের জানা ছিল। যকৃতে ফ্যাট বা ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য স্থূলত্ব হয়, এটাও জানা ছিল। কিন্তু সেই ফ্যাটি অ্যাসিডের কী ভূমিকা থাকে টাইপ-টু ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে, সেটা এত দিন ছিল অজ্ঞাত।
আরও পড়ুন
শিশুদের শরীরে কোভোভ্যাক্সের ট্রায়ালে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের, বড় ধাক্কা খেল সিরাম
আরও পড়ুন
কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মাত্র ৯০ লক্ষ, জুলাইতেও রাজ্যে টিকার আকাল থাকার আশঙ্কা প্রবল
এই গবেষণা জানাল, যকৃতে ফ্যাট বা ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেড়ে গেলেই সেই ফ্যাটি অ্যাসিড আর এক ধরনের পদার্থ তৈরি করে। তার নাম গামা-অ্যামাইনোবিউটারিক অ্যাসিড বা ‘গাবা’। এই গাবা মানবমস্তিষ্কে স্নায়ুগুলিকে ধীরে ধীরে অবশ করে দেয়। তার ফলে যকৃতের কোষের পাঠানো বার্তা আর মস্তিষ্কে পৌঁছতে পারে না। তখন মস্তিষ্ক রক্তে আরও বেশি পরিমাণে শর্করা তৈরির নির্দেশ পাঠাতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন বেরিয়ে আসতেও বাধা দেয় গাবা। ফলে, রক্তে শর্করার বাড়তি মাত্রা কমানোর আর কোনও উপায় থাকে না।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, “এর ফলে, অস্বাভাবিক স্থূলত্ব দেখলেই যকৃতে গাবার পরিমাণ জানার চেষ্টা হবে। আর তা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ওষুধও আসবে বাজারে।”