ছবি- শাটারস্টকের সৌজন্যে।
গত ৩ দশকে বিশ্বে যমজ সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার হার একলাফে বেড়ে গিয়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি। আর সংখ্যার নিরিখে সেটা বেড়েছে ৪২ শতাংশ। গবেষণাগারে ‘ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ)’ পদ্ধতিতে প্রসবের ঘটনা বাড়ার জন্যই এই বৃদ্ধি।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই তথ্য দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘হিউম্যান রিপ্রোডাকশন’-এ। গত ১১ মার্চ।
গবেষণা জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সালে প্রতি ১ হাজার প্রসবের ঘটনায় যেখানে ৯টি যমজ সন্তানের জন্ম হত, সেখানে ২০১০ থেকে ২০১৫-য় প্রতি ১ হাজার প্রসবের ঘটনায় ১২টি যমজ সন্তানের জন্ম হয়েছে।
গবেষণা এ-ও জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ’৮৫ সালের মধ্যে বিশ্বে ১১ লক্ষ যমজ সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। সংখ্যাটা ২০১০ থেকে ’১৫-য় বেড়ে গিয়ে হয়েছে ১৬ লক্ষ। একই সময়ে বিশ্বে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার হার বেড়েছে মাত্র ৮ শতাংশ।
গবেষকরা দেখেছেন, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সংখ্যা ও হার গত ৩ দশকে বেড়ে গিয়েছে মূলত আইভিএফ পদ্ধতির উপর নির্ভরতা উত্তরোত্তর বেড়ে গিয়েছে বলে। এই পদ্ধতিতে গবেষণাগারে ডিম্বানুর সঙ্গে নিষিক্ত করা হয় শুক্রাণুকে। তার পর সেটিকে প্রতিস্থাপন করা হয় জরায়ুতে। সে ক্ষেত্রে একটির বেশি ভ্রূণ প্রতিস্থাপিত হলে যমজ সন্তান জন্মের সম্ভাবনা বেড়ে যায়, জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকরা এ-ও জানিয়েছেন, যমজ সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাদের মৃত্যুর হারও আগের চেয়ে বেড়ে গিয়েছে গত ৩ দশকে। তুলনায় এখন বেশি বয়সে মা হওয়ার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে বলেও যমজ সন্তানের জন্ম হার বেড়ে গিয়েছে। গবেষণাটি চালানো হয়েছে ১৬৫টি দেশে।