প্রতীকী ছবি।
চলতি শতকের প্রথম সতেরো বছরে হু-হু করে বেড়েছে মিথেন গ্যাস নির্গমন। সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভূবিজ্ঞানের অধ্যাপক রব জ্যাকসনের নেতৃত্বাধীন একটি গবেষক দল এই তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র দু’টি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
২০০০-২০১৭, এই সতেরো বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে ওই গবেষক দল জানিয়েছে, ২০১৭ সালে মোট ৫৯৬ মেট্রিক টন মিথেন গ্যাস বায়ুমণ্ডলে মিশেছে। যে হারে মিথেন নির্গমন বাড়ছে তা চলতে থাকলে চলতি শতক শেষ হওয়ার আগেই পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রব জ্যাকসন ও তাঁর সহযোগী বিজ্ঞানীদের গবেষণায় জানা গিয়েছে, আফ্রিকা, দক্ষিণ এবং পশ্চিম এশিয়া, চিনে মিথেন নির্গমনের হার বেশি। এই এলাকাগুলিতে মিথেন নির্গমন বার্ষিক ১০-১৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে লকডাউনের জেরে কার্বন নির্গমন অনেকটাই কমেছে। কিন্তু তাতে মিথেন নির্গমনে বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলেই বিজ্ঞানীদের অভিমত। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৭ সালে সব থেকে বেশি মিথেন তৈরি হয়েছে কৃষিখেত থেকে। করোনায় কৃষিকাজ সে ভাবে বন্ধ হয়নি।
গবেষকদের মতে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো পরিবেশবান্ধব জ্বালানির পাশাপাশি কৃষি ও গোপালন ক্ষেত্রেও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ব্যবহার বাড়াতে হবে।