শনিবার সূর্যাস্তের পর থেকে সোমবার ভোর রাত পর্যন্ত আকারে আকৃতিতে একই রকম থাকবে পূর্ণিমার চাঁদ। ছবি- নাসার সৌজন্যে।
বাঁ দিকে পূর্ণিমার ভরা চাঁদ। ডান দিকে যেন মালায় গাঁথা বৃহস্পতি, শুক্র আর শনিগ্রহ।
শনিবার সন্ধ্যায় এই অবাক করা দৃশ্য দেখা যাবে আকাশে।
শুধু তা-ই নয়। শনিবার থেকে টানা তিন দিন ধরে পূর্ণিমার চাঁদের আকার আকৃতি থাকবে একই রকম। তাই বছরে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এই পূর্ণিমা।
শনিবার সূর্যাস্তের পর থেকে সোমবার ভোর রাত পর্যন্ত আকারে আকৃতিতে একই রকম থাকবে পূর্ণিমার চাঁদ।
নাসা তাই বছরের এই শেষ-পূর্ণিমার নাম দিয়েছে— ‘আ ফুল মুন উইকএন্ড’। সপ্তাহ-শেষে জোড়া পূর্ণিমা।
টানা তিন ধরে পূর্ণিমার চাঁদ নিজের আকার ও আকৃতি ধরে রাখার ঠিক পরের দিনটি, মঙ্গলবার থেকেই পৃথিবীর উত্তর মেরু সূর্য থেকে চলে যাবে সবচেয়ে বেশি কৌণিক দূরত্বে। সাড়ে ২৩ ডিগ্রি কোণে।
চাঁদের ডান দিকে মালায় গাঁথা অবস্থায় এই ভাবে দেখা যাবে বৃহস্পতি, শনি ও শুক্রগ্রহকে। শনিবার। ছবি- নাসার সৌজন্যে।
ফলে, শরৎকালকে বিদায় জানিয়ে উত্তর গোলার্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে যাবে শীতকাল।
পৃথিবীর উত্তর মেরু সূর্যের সঙ্গে ওই কৌণিক অবস্থানে থাকবে আগামী বছরের ২০ মার্চ পর্যন্ত।
নাসা জানিয়েছে, আকাশের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে উঠতে দেখা যাবে শনিবারের পূর্ণিমার চাঁদকে। আর তার ডান পাশে একটি মালায় গাঁথা অবস্থায় দেখা যাবে সৌরমণ্ডলের আরও তিনটি গ্রহকে।
সেই মালায় সবচেয়ে উপরে থাকবে সৌরমণ্ডলের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি। মাঝখানে থাকবে শনি। আর সবচেয়ে নীচে থাকবে পৃথিবীর যমজ গ্রহ শুক্র। যাকে আমরা শুকতারা বলে জানি।