কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে। প্রতীকী ছবি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নিয়ে আবার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জিওফ্রে হিন্টন। যিনি কৃত্রিম মেধার ‘গডফাদার’ নামেই পরিচিত। শুক্রবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নতুন করে এআই নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের থেকেও বিপজ্জনক হতে পারে কৃত্রিম মেধা।’’
যত দিন গড়াচ্ছে, কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ বাড়ছে। বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে শুরু হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর প্রয়োগ। তবে ভবিষ্যতের জন্য এআইয়ের প্রভাব মারাত্মক হতে পারে বলে ক’দিন আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন হিন্টন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়ে সম্প্রতি অ্যালফাবেট সংস্থা থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তৈরি হতে চলা সঙ্কটজনক পরিস্থিতি নিয়ে নির্দ্বিধায় যাতে তিনি নিজের মতামত ব্যক্ত করতে পারেন, সে কারণেই ইস্তফা দিয়েছেন বলে টুইট করেছিলেন হিন্টন।
এ বার এআই নিয়ে আরও এক আশঙ্কার কথা তুলে ধরলেন। হিন্টন বলেছেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনকে লঘু করে দেখছি না। আমি এটাও বলতে চাই না যে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। এটাও বিপজ্জনক। তবে এই বিপদ থেকে বেরোনোর রাস্তা রয়েছে।’’ এর পরই এআই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আপনারা বুঝবেন কী করা উচিত, কোনটা অনুচিত। তা হলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে (এআই) কী করা উচিত, তা স্পষ্ট নয়।’’
কিছু দিন আগে, এআই নিয়ে উদ্বেগের কথা উঠে এসেছিল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বা ডব্লিউইএফের রিপোর্টে। সেখানে দাবি করা হয়েছিল যে, কৃত্রিম মেধার ব্যবহারের কারণে আগামী ৫ বছরে বিশ্ব জুড়ে কাজ হারাতে পারেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপকারিতার দিকটি আগেই তুলে ধরেছিলেন হিন্টন। ‘গডফাদারের’ মুখেই এমন আশঙ্কার কথা বার বার যে ভাবে প্রকাশ্যে আসছে, তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।