প্রতীকী ছবি।
আরও চার নভশ্চরকে মহাকাশে পাঠাল এলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স। গন্তব্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)। রবিবার রাতে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রওনা দিয়েছে স্পেসএক্সের ফ্যালকন রকেট। যার মাথায়, ড্রাগন ক্যাপসুলে রয়েছেন চার যাত্রী। ২৭ ঘণ্টার যাত্রা। ‘মৃদু কোভিড’ উপসর্গ থাকায় এলন নিজে হাজির থাকতে পারেননি মহাকাশ ট্যাক্সির প্রথম বাণিজ্যিক ও পেশাদার উড়ান শুরুর সময়। দূর থেকে দেখেছেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
গত মে মাসেও এলনের সংস্থার রকেটে দুই মার্কিন নভশ্চর আইএসএসে গিয়েছেন। সে যাত্রা ছিল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ। পরীক্ষামূলক সেই যাত্রার নাম ছিল ‘ক্রু-ডেমো-২’। নাসার কাছ থেকে পরিকাঠামোর সুবিধা ও ছাড়পত্র পেলেও এ বারের যাত্রা পুরোপুরি স্পেসএক্সের ট্যাক্সি উড়ান। উবের, ওলার মতো অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করে যেমন গন্তব্যে পৌঁছনো যায়, এ-ও ঠিক তেমনই। শুধু গন্তব্যটি একটু দূরে, পৃথিবী থেকে ২৫০ মাইল দূরের এক কক্ষপথে।
স্পেসএক্স এই যাত্রার নাম দিয়েছে ‘ক্রু-১মিশন’। তাতে চেপে চার অভিযাত্রী গন্তব্যে পৌঁছবেন ভারতের হিসেবে মঙ্গলবার। এঁরা হলেন মিশন স্পেশ্যালিস্ট শ্যানন ওয়াকার, ভেহিকল পাইলট ভিক্টর গ্লোভার, কমান্ডার মাইক হপকিনস ও মিশন স্পেশ্যালিস্ট সোইচি নোগুচি। প্রথম তিন জন আমেরিকার, তথা নাসার। চতুর্থ জন জাপানের এরোস্পেস এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির। আইএসএসে এঁরা থাকবেন ছ’মাস। স্পেসএক্সের পরের ফেরিটি সেখানে যাবে ২০২১-এর মার্চে।
এ বারের অভিযাত্রীরা ২০২১-এর এপ্রিলে যখন ফিরবেন, সেই যাত্রায় কমান্ডারের দায়িত্বে থাকবেন শ্যানন। মহাকাশ যাত্রায় এই প্রথম কমান্ডারের ভূমিকায় দেখা যাবে কোনও মহিলাকে। হপকিনস ও ওয়াকার, দু’জনেই আগে এক বার করে আইএসএসে থেকে এসেছেন। হপকিনস গিয়েছিলেন ২০১৩-তে। ওয়াকার ২০১০-এ। নগুচি ২০০৫ ও ২০১০০-এ আইএসএস ঘুরে এসেছেন। তিনি বিশ্বের একমাত্র নভশ্চর, যিনি তিন বার তিন ধরনের রকেটে মহাকাশে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন।
মহাকাশ যাত্রার বেসরকারি ট্যাক্সি পরিষেবায় মুগ্ধ হপকিনস, কক্ষপথে পৌঁছে আজ বলেছেন, “কী অসাধারণ এক যাত্রা!”