সব ঠিক থাকলে নীল রঙে চিহ্নিত পথে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে চাঁদের কক্ষপথে গিয়ে পৌঁছবে চন্দ্রযান ৩। তার পরে লাল রেখায় নির্দেশিত আবর্তন পথে ক্রমশ চাঁদের দিকে এগোবে। ছবি: ইসরোর টুইটার পেজ থেকে।
এতদিন ‘ঘরের’ কাছে ছিল চন্দ্রযান ৩। এ বার তার চেনা আওতা ছেড়ে বেরনোর পালা। সোমবার পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের কক্ষপথের দিকে রওনা হওয়ার কথা চন্দ্রযান ৩-এর। তার আগে ইসরোর চন্দ্রযানকে নিয়ে শুরু হয়েছে চিন্তা। ‘ঘর’ ছেড়ে বাইরে বেরনোর প্রক্রিয়া সফল হবে তো?
সোমবারকে বলা হয় চাঁদের দিন। কারণ সোম চাঁদেরই আর এক নাম। আর এই সোমবারেই অর্থাৎ ৩১ জুলাই পৃথিবীর আগল ছিঁড়ে চাঁদের দিকে লাফ দেওয়ার কথা চন্দ্রযান ৩-এর। ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অনেকটা গুলতি ছোঁড়ার মতো করে তাঁকে ছুড়ে দেওয়া হবে চাঁদের কক্ষপথের দিকে। তবে তার পর কী হবে, তা নির্ভর করছে নির্ভুল লক্ষ্যভেদের এর উপর। লক্ষ্যচ্যুত হলেই মুশকিল।
ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন হল এমন একটি বিষয় যেখানে যথাসময়ে চন্দ্রযান ৩-এর প্রপালশন চালু করে তার গতি অত্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। যাতে সেটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের বাধা কাটিয়ে সোজা উড়ে যেতে পারে চাঁদের আকর্ষণ ক্ষেত্রে। কিন্তু বিষয়টা খুব সহজ নয়। অনেক অঙ্ক কষে, পৃথিবীকে ঘিরে চন্দ্রযান ৩-এর কক্ষপথের কোন জায়গায় ওই প্রপালশন চালু করতে হবে তা নির্ধারণ করেন বিজ্ঞানীরা। কারণ হিসাবের সামান্য গোলমালে চাঁদের আকর্ষণ ক্ষেত্রের বদলে চন্দ্রযান৩ পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারে মহাশূন্যেও।
ইতিমধ্যেই পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে কক্ষপথের আয়তন ক্রমশ বাড়িয়ে নিয়েছে চন্দ্রযান ৩। গত ২৫ জুলাই পঞ্চম বারের জন্য এই কক্ষপথের আকারবৃদ্ধির কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে চন্দ্রযান ৩ এখন পৃথিবীর আকর্ষণ ক্ষেত্রের মধ্যে থাকলেও সেখান থেকে সহজে বেরনোর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। সোমবার আপাতত যথাসময়ে পৃথিবীর আকর্ষণের চৌহদ্দি ছেড়ে চন্দ্রযান ৩-এর বেরনোর অপেক্ষা।