উইলিয়াম শাটনার। (পিছনে) ‘স্টার ট্রেক’ চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনীত চরিত্র ‘ক্যাপ্টেন জেমস টি কার্ক’। ছবি- ব্লু অরিজন-এর সৌজন্যে।
হলিউডের আলোড়ন ফেলে দেওয়া কল্পবিজ্ঞানভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘স্টার ট্রেক: দ্য অরিজিনাল সিরিজ’-এর সেই হইচই ফেলে দেওয়া অভিনেতা উইলিয়াম শাটনার এ বার সত্যি সত্যিই যাচ্ছেন মহাকাশে। আগামী মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায়। ৯০ বছর বয়সে। তিনিই হবেন প্রবীণতম মহাকাশচারী।
স্টার ট্রেক চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো হয়েছিল ৫৫ বছর আগে। শাটনার তখন মধ্য তিরিশে। চলচ্চিত্রে যে চরিত্রে অভিনয়ের জন্য কানাডার এই অভিনেতার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে তার নাম ছিল- ‘ক্যাপ্টেন জেমস টি কার্ক’।
আকাশ ও মহাকাশের সীমান্তে শাটনারকে পৃথিবীর কাছের কক্ষপথের কাছাকাছি পৌঁছে দেবে ধনকুবের জেফ বোজোসের সংস্থা ‘ব্লু অরিজিন’-এর মহাকাশযান ‘নিউ শেফার্ড’। শাটনারের সঙ্গী হবেন আরও তিন জন। ব্লু অরিজন-এর তরফে এই খবর দেওয়া হয়েছে বুধবার। জানানো হয়েছে, পশ্চিম টেক্সাসে ব্লু অরিজিন-এর নিজস্ব যে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলি রয়েছে তার প্রথমটি (সাইট ওয়ান) থেকেই শাটনার ও তাঁর আরও তিন সঙ্গীকে নিয়ে রওনা হবে নিউ শেফার্ড মহাকাশযান।
আমেরিকার ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এনবিসি)-এর ‘টুডে শো’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শাটনার বলেছেন, ‘‘মহাকাশ নিয়ে কল্পবিজ্ঞানভিত্তিক ছবিতে অনেক আগেই দাপটে অভিনয় করেছি, ঠিক কথা। কিন্তু তাতে মহাকাশের গভীরতা, ব্যাপকতা বুঝতে পারিনি। এ বার মহাকাশে যাচ্ছি সেই গভীরতা, ব্যাপকতা বুঝতে। আর তার কাছে পৃথিবী কতই না তুচ্ছ তা মহাকাশ থেকেই বুঝতে।’’
গত ১০ জুলাই থেকেই পরীক্ষামূলক ভাবে এই মহাকাশ ভ্রমণ শুরু করেছে ব্লু অরিজিন। প্রথম দিন মহাকাশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন বেজোস, তাঁর ভাই মার্ক, নাসার প্রাক্তন মহিলা মহাকাশচারী ওয়ালি ফাঙ্ক এবং নেদারল্যান্ডসের কিশোর অলিভার দায়েমেন। তার আগে আর এক ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসনও মহাকাশে ঘুরে আসেন তাঁর সংস্থা ‘ভার্জিন গ্যালাক্টিক’-এর মহাকাশযানে চেপে।