নিরামিষ খাবার খেতে ইচ্ছে করে না? ছবি: সংগৃহীত।
সপ্তাহে এক দিন বাড়িতে নিরামিষ রান্না হয় অর্পিতার। তাই সে দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাইরের খাবার খেয়েই কাটাতে হয় তাঁকে। মাছ, মাংস, ডিম ছাড়া যে তিনি খেতে পারেন না, তা নয়। নিরামিষ খাবার খেতেও তিনি যথেষ্ট ভালবাসেন। যথেষ্ট তেল, ঝাল, মশলা দেওয়া সত্ত্বেও বাড়ির নিরামিষ পদগুলির স্বাদ মনের মতো হয় না।
পদের বৈচিত্রের দিক থেকে আমিষ রান্নার সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দেয় নিরামিষ খাবার। কিছু কিছু নিরামিষ রান্নার স্বাদ তো মুখে লেগে থাকে আজীবন। অর্পিতার মতো অনেকেরই বাড়িতে নিরামিষ রান্না হয়েছে শুনে মুখ বেজার হয়ে যায়। কারণ নিরামিষ রান্নার ক্ষেত্রে উপকরণ যা-ই হোক, স্বাদ একটা বড় বিষয়। নিরামিষ পদ খাইয়েও মনজয় করে নেওয়া যায়, যদি রান্নার সময়ে কয়েকটি বিষয় মেনে চলেন।
নিরামিষ রান্নার স্বাদ মুখে লেগে থাকবে কিছু নিয়ম মানলে। ছবি: সংগৃহীত।
ঘি ব্যবহার করুন
নিরামিষ রান্নার কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। ছানার কোফতা হোক কিংবা ধোঁকার ডালনা, তেলের বদলে এক দিন ঘি দিয়ে রান্না করুন। নিরামিষ খাবার দেখলেই বিরক্ত হওয়া তরুণীটিও চেটেপুটে খাবেন। ঘি দিয়ে রান্না করা যে কোনও খাবারই খেতে ভাল হয়। রোজ ঘি খাওয়া ভাল নয়। তবে সপ্তাহে এক-দু’দিন তাক থেকে ঘিয়ের কৌটো নামালে অসুবিধা হবে না।
আঁচ কম করুন
ডোবা তেলে ধোঁকা ভাজার সময়ে আঁচ বাড়িয়ে রাখতে পারেন। কিন্তু মশলা কষানোর সময়ে আঁচ একেবারে কমিয়ে দিন। ধোঁকা বলে নয়, যে কোনও নিরামিষ পদ নিভু আঁচে রান্না করাই ভাল। এতে মশলা পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। তা ছাড়া, মশলা বেশি ভাজা হয়ে গেলে স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়।
রান্নায় টম্যাটো সস্ দিতে পারেন
পনির রান্না করছেন। এ দিকে, বাড়িতে টম্যাটো নেই। বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন টম্যাটো সস্। কিন্তু টম্যাটো যদি হেঁশেলে থাকে, তা হলে সস্ নয়, টম্যাটো বাটা ব্যবহার করুন। তাতে ঝোলও বেশ ঘন হয়। রান্নার স্বাদও টক-মিষ্টি হয়।
ফুড কালার নয়
রান্না শুধু স্বাদে এবং গন্ধে অতুলনীয় হয়ে উঠলেই হবে না, রং কতটা গাঢ় হয়েছে, সেটাও তো নজরে রাখতে হবে। অনেকেই খাবারে ফুড কালার ব্যবহার করেন। কিন্তু নিরামিষ কোনও খাবারে ফুড কালার ব্যবহার না করাই ভাল। রান্নায় রং আনতে বরং ব্যবহার করতে পারেন কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো। খেতে ভাল হবে, আবার দেখতেও সুন্দর লাগবে।