‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবির একটি দৃশ্যে রণবীর-দীপিকা। ছবি: সংগৃহীত
তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে ডেটে যাওয়ার অর্থই হল হয় শপিং মলে ঘোরাঘুরি, আর না হয় রেস্তরাঁয় গিয়ে হরেক স্বাদের খাবার চেখে দেখা। কেউ কেউ আবার সময় পেলেই সিনেমা দেখতে যেতে পছন্দ করেন। তবে ব্যস ওইটুকুই! সম্পর্ক একটু বেশি দিনের হয়ে গেলে এই একই কাজ করতে গিয়ে একঘেয়েমি এসে যায়। কথাও যেন ফুরিয়ে আসে। মনে প্রশ্ন জাগে, সম্পর্কটাও কি একঘেয়ে হয়ে উঠছে?
সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য এই একঘেয়েমি কাটানো ভীষণ জরুরি। সম্পর্কের বন্ধন আরও গভীর করতে দু’জনে একসঙ্গে অনেক কিছুই করা যায়। এক জন উৎসাহ না নিলেও অন্য জন যদি একটু বেশি উদ্যোগী হয়ে নতুন কিছু শুরু করেন, তা হলেও দেখবেন সম্পর্ক আরও মধুর হয়ে উঠছে। ছুটির দিনে কাফেতে নয়, বান্ধবীকে নিয়ে চলে যেতে পারেন কোনও চায়ের ঠেকে। সিনেমা তো রোজই দেখেন, কখনও প্রেমিক-প্রেমিকা অ্যাকাডেমিতে একটা নাটক দেখতে গেলেও মন্দ হবে না! স্বাদবদল করতে শপিং মলে না গিয়ে বান্ধবীকে নিয়ে নিউ টাউনের সোনাঝুরি হাটেও ঘুরতে যেতে পারেন।
‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিতে একান্ত মুহূর্তে রণবীর-দীপিকা। ছবি: সংগৃহীত
সম্পর্কের একঘেয়েমি কাটাতে আর কী কী করা যায়?
১) চিঠিতে প্রেমালাপ: হোয়াট্সঅ্যাপের যুগে এখন আর কেউ কাউকে চিঠি লেখেন না। অথচ মা, দিদিমাদের আলমারি ঘাঁটলে কাপড়ের ভাঁজে এখনও পুরোনো সব চিঠির হদিস মেলে। অনেক সময়েই তাঁদের সেই চিঠি যত্ন নিয়ে পড়তে দেখা যায়। চিঠি লেখার মধ্যে কিন্তু আলাদা আবেগ রয়েছে। সম্পর্কে একটু অন্য রকম কিছু করতে চাইলে একে অপরকে মাঝেমধ্যে চিঠি লিখতে পারেন।
২) হেঁশেলে অভিযান: দু’জনেই কি খেতে ভালবাসেন? তা হলে কোনও ছুটির দিনে রান্নাঘরে একসঙ্গে নতুন কোনও পদ তৈরি করার চেষ্টা করুন। ভাল হলে তো দারুণ ব্যপার। যদি ঠিক মতো না-ও হয়, তা হলেও অভিজ্ঞতাটি উপভোগ করুন। একসঙ্গে বাজার করা থেকে রান্নার পর একে অপরের সঙ্গে সেই রান্না চেখে দেখা— অভিজ্ঞতাটি কিন্তু মন্দ হবে না।
৩) গাড়িতেই রোম্যান্স: গাড়ি নিয়ে সকাল সকাল সঙ্গীর সঙ্গে বেরিয়ে পড়তে পারেন ‘লং ড্রাইভে’। সঙ্গীর হাতের উপর হাত, সঙ্গে পছন্দের কিছু প্রেমের গান— ডেট কিন্তু ভালই জমবে।
৪) মিষ্টি ওয়াক: মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন? তা হলে সঙ্গীকে নিয়ে এক দিন মিষ্টি ওয়াকে যেতে পারেন। এক দিন সকাল থেকে বেরিয়ে পড়ুন উত্তর কলকাতার রাস্তায়। শোভাবাজারের নবীনচন্দ্র দাস অ্যান্ড সন্স, বৌবাজারের ভীমচন্দ্র নাগ, কলেজ স্ট্রিটের পুঁটীরাম, সল্টলেকের বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিক— উত্তর কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে নিজেদের পছন্দের মিষ্টি চেখে দেখতে পারেন।
৫) লভ ফোটোশুট: বিয়ের আগে ও পরে ফোটোশুট করার চল বেড়েছে। তবে এক দিন মজার ছলে প্রেমের ফোটোশুট করলে কেমন হয়? না পয়সা খরচ করে ফোটোগ্রাফার ভাড়া করে নয়, চেনা-পরিচিত কোনও ফোটোগ্রাফার বন্ধুকে বিরিয়ানি খাইয়েই যদি কাজ হয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি কী! একটি দিন বিভিন্ন কায়দায় ছবি তুলতে মন্দ লাগবে না, বরং বেশ ভালই লাগবে। সম্পর্কের জন্য এইটুকু তো করাই যায়।