Homemade Chyawanprash

বাড়িতে তৈরি চ্যবনপ্রাশই পছন্দ করেন মাসাবা! শীত পড়ার আগে শিখে নিন, কী ভাবে বানাতে হয়

বাজারে যদিও বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক সংস্থার চ্যবনপ্রাশ কিনতে পাওয়া যায়, তবে বেশির ভাগের মধ্যেই চিনি দেওয়া থাকে। ফলে যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের জন্য এই ধরনের চ্যবনপ্রাশ বিপজ্জনক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:২২
Share:

পোশাকশিল্পী মাসাবা গুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।

শীতের সময়ে সর্দিকাশি লেগেই থাকে। বাচ্চা থেকে বয়স্ক, অনেকেই অ্যালার্জি-জনিত সমস্যায় ভোগেন। মরসুম বদলের সর্দিকাশির সঙ্গে মোকাবিলা করতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা জরুরি। সেই কাজে সাহায্য করে চ্যবনপ্রাশ।

Advertisement

বাজারে যদিও বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক সংস্থার চ্যবনপ্রাশ কিনতে পাওয়া যায়, তবে বেশির ভাগের মধ্যেই চিনি দেওয়া থাকে। ফলে যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের জন্য এই ধরনের চ্যবনপ্রাশ বিপজ্জনক। সদ্য কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন পোশাকশিল্পী মাসাবা গুপ্ত। সন্তানের পাশাপাশি নিজের শরীরেরও যত্ন নিতে হচ্ছে তাঁকে। মরসুম বদলের সময়ে যাতে চট করে ঠান্ডা লেগে না যায়, সেই জন্য বন্ধুর হাতে তৈরি চ্যবনপ্রাশ খাচ্ছেন পোশাকশিল্পী। চাইলে সেই ঔষধি আপনিও তৈরি করে ফেলতে পারেন। শিখে নিন, কী ভাবে।

উপকরণ:

Advertisement

৫০০ গ্রাম: আমলকি

৪ থেকে ৫টি: ছোট এলাচ

১টি: বড় এলাচ

৮ থেকে ১০টি: লবঙ্গ

১টি: স্টার আনিস

৪ থেকে ৫টি: তেজপাতা

১০ থেকে ১৫টি: গোলমরিচ

১ টেবিল চামচ: দারচিনি

আধ কাপ: জলে ভেজানো কিশমিশ

এক কাপ: তুলসীপাতা

১৫টি: খেজুর

১ টেবিল চামচ: আদা বাটা

৩ টেবিল চামচ: ঘি

এক কাপ: গুড়

১০ থেকে ১৫টি সুতো: কেশর

প্রণালী:

১) প্রথমে আমলকি ভাল করে ধুয়ে, কেটে সেদ্ধ করে নিন।

২) এ বার শুকনো কড়াইয়ে দারচিনি, ছোট এলাচ, বড় এলাচ, লবঙ্গ, স্টার আনিস, গোলমরিচ, তেজপাতা মিনিট পাঁচেক ভেজে নিন। একটু ঠান্ডা হলে মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন।

৩) এর পর কিশমিশ, খেজুর, আদা এবং তুলসীপাতা একসঙ্গে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

৪) সেদ্ধ করে রাখা আমলকি থেকে বীজ ছাড়িয়ে নিন। হাত দিয়ে ভাল করে চটকে নিতে পারেন। আবার মিক্সিতে বেটেও নিতে পারেন।

৫) এ বার লোহার কড়াইয়ে ঘি গরম করতে দিন। গ্যাসের আঁচ একেবারে কমিয়ে রাখবেন।

৬) গরম হয়ে গেলে বেটে রাখা আমলকি দিয়ে নাড়তে থাকুন। চার থেকে পাঁচ মিনিট মতো রান্না করুন। তার পর দিয়ে দিন গুড়।

৭) গুড় ভাল করে মিশে গেলে প্রথমে বেটে রাখা কিশমিশ এবং খেজুরের পেস্ট দিয়ে দিন।

৮) নাড়তে নাড়তে মিশ্রণ থেকে জল শুকিয়ে এলে এবং চ্যবনপ্রাশের রং খানিকটা কালচে হয়ে এলে ভেজে রাখা গুঁড়ো মশলা এবং কেশর দিয়ে দিন।

৯) পরিষ্কার, বায়ুরোধী কাচের শিশিতে এই চ্যবনপ্রাশ রেখে দিতে পারেন মাস ছয়েক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement