হাড়ের রোগ ঠেকিয়ে রাখবে শসার বীজ। ছবি: সংগৃহীত।
মুড়ি আর মিছরির কদর কি এক? ফল আর তার বীজে একই রকম গুণ থাকতে পারে?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পারে। অস্টিয়োপোরোসিস এবং অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস ঠেকিয়ে রাখতে পারে অতি ক্ষুদ্র শসার বীজ। অনেকেই হয়তো জানেন, শরীরে জলের অভাব মেটাতে পারে শসা। কিন্তু শসার বীজেরও যে এত গুণ রয়েছে, সে কথা বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্রিয়েটিভ রিসার্চ থট্স’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, হাড়ের জন্য ভাল শসার বীজ। হাড় মজবুত করতে এবং তার ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে প্রয়োজন ক্যালশিয়ামের। সেই খনিজটি শোষণ করার জন্য আবার বিশেষ এক ধরনের পেপটাইডের প্রয়োজন হয়। সেই পেপটাইড বা উৎসেচক ক্ষরণে সহায়তা করে শসার বীজ।
শসার বীজ কী ভাবে হাড়ের যত্ন নেয়?
১) শসার বীজে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলি হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে পারে। হাড় ভঙ্গুর করে দিতে পারে, এমন কোষগুলি খুব বেশি সক্রিয় হতে দেয় না শসার বীজ। ফলে হাড় মজবুত থাকে।
২) অস্টিয়োপোরোসিসের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে শসার বীজ। হাড়ের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই বীজটি।
৩) হাড়ের গঠন, ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, হাড়ের ক্ষতি করতে পারে, এমন প্রোটিনের মাত্রা হ্রাস করে।
এ ছাড়া শসার বীজে আর কী কী আছে?
১) শসার বীজে রয়েছে পেপটাইড, যা শরীরে উপস্থিত ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো অন্যান্য খনিজ শোষণ করতে সাহায্য করে।
২) নানা রকম ভিটামিন এবং খনিজে সমৃদ্ধ হওয়ায় শসার বীজ সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হয়ে উঠতেই পারে। শরীরে খনিজের ঘাটতি পূরণ করে এই বীজটি।
৩) শসার বীজে ভিটামিন, খনিজ এবং জলের পরিমাণও বেশি। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা রোধ করার ক্ষমতা রয়েছে এই বীজে।