শুধু স্বাদ নয়, চায়ের সঙ্গে কিছু মশলা মেশালে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল হবে। ছবি: সংগৃহীত।
চায়ের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক দীর্ঘ কালের। সকালে ঘুম ভাঙার পর চায়ের কাপে চুমুক না দিলে আলস্য কাটতে চায় না। তেমনই বন্ধুদের সঙ্গে সান্ধ্য আড্ডায় চায়ের কাপে তুফান না তুললে মজলিশ জমে না। ক্লান্তি দূর করতেও এক কাপ চায়ের জুড়ি মেলা ভার। চা যে শুধু মনের খেয়াল রাখে, তা নয়। চায়ে যদি মেশাতে পারেন ৫টি উপকরণ, তা হলে মনের পাশাপাশি ভাল থাকবে শরীরও। গোটা শীত জুড়ে শরীরে থাকবে উষ্ণতার ছোঁয়া।
১) আদা:
চায়ে আদা দেওয়ার হাজার একটা কারণ রয়েছে। অনেকে শুধুমাত্র স্বাদের কারণে চায়ে আদা দেন। কিন্তু আয়ুর্বেদ বলছে, আদায় এমন অনেক উপাদান রয়েছে, যেগুলি প্রদাহনাশক। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে এই কন্দে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে আদা।
২) হলুদ:
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন। এই উপাদানটি আসলে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। আবার হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানও রয়েছে, যা সংক্রমণ-জনিত জ্বর, সর্দি, কাশি নিরাময় করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বিপাকহার ভাল রাখতেও সাহায্য করে এই মশলা।
৩) দারচিনি:
এক চিমটে দারচিনি দিলেই রান্নায় অন্য মাত্রা যোগ হয়। আবার এই মশলাই চায়ে মিশলে তার কার্যগুণ বেড়ে যায় অনেকটা। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতেও সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়তে দেয় না দারচিনি।
৪) লবঙ্গ
লবঙ্গে উপকারী উপাদান অশেষ। হজমের গোলমাল রোধ করা থেকে হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করা— লবঙ্গ সত্যি সর্বগুণসম্পন্ন। পেশির গঠন মজবুত করা থেকে শরীরে বিভিন্ন অংশে ব্যথা-বেদনা দূর করা। চায়ের সঙ্গে লবঙ্গ ফুটিয়ে খেলে পাশাপাশি আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
৫) তুলসী
স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে তুলসী। বিশেষ করে ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের জন্য তুলসী-চা অন্যতম ওষুধ। তুলসীতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলস। এগুলি শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।