কুমড়ো ফুলের পুর ভরা তৈরি করা খুব সহজ। ছবি: সংগৃহীত।
কুমড়ো ফুলের বড়া তো অনেক খেয়েছেন। গরম ভাতে যেন অমৃত। ডাল দিয়ে ভাত মেখে বড়া কামড়ে খাওয়াতে স্বর্গীয় অনুভূতি আসে। কিন্তু কুমড়ো ফুলের পুর ভরা খেয়েছেন কখনও? সাবেক বাংলাতে এই পদও কিন্তু ছিল বেশ জনপ্রিয়। কুমড়ো ফুলের বড়া যেমন নিরামিষ, পুর ভরা মোটেও তা নয়। কুমড়ো ফুলের পুর নাম লিখিয়েছে আমিষের তালিকায়। মা-ঠাকুরমারা এক সময়ে এই পদ খুব রসিয়েই রান্না করতেন। গরম ভাতে বড়া ভেঙে ভিতরের পুর বার করে খাওয়ার মজাই ছিল আলাদা। ব্যস্ততার সময়ে পুর ভরার ঝক্কি কেউ নিতে চায় না। শুধু ফুলটাই বেসনে চুবিয়ে মুচমুচে করে ভেজে নেয়।
স্বাদ বদলের জন্য কুমড়ো ফুলের পুর ভরা যদি খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তা হলে জেনে নিন রেসিপি। খুবই সহজ, বেশি খাটাখাটনি করতে হবে না।
উপকরণ:
কুমড়ো ফুল- ৮ থেকে ১০টি পোস্ত- ১/৪ কাপ চিংড়ি- ১৫০ গ্রাম নারকেল কোরা- ১/৪ কাপ কাঁচা লঙ্কা- ৩-৪টি সর্ষের তেল- ১ চামচ নুন- স্বাদ অনুসারে
ব্যাটারের জন্য:
বেসন- ১/২ কাপ চালের গুঁড়ো- ১/২ কাপ কালো জিরে- ১ চামচ হলুদ গুঁড়ো- ১/২ চামচ সাদা তেল- পরিমাণ মতো টুথ পিক- প্রয়োজন মতো
প্রণালী:
উষ্ণ গরম জলে পোস্ত ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তার পর জল ঝরিয়ে নিন। এ বার চিংড়ি ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। চিংড়ির মাথা ও লেজ ছাড়িয়ে নিলেই ভাল। সামান্য জল ও ২-৩টি কাঁচালঙ্কা দিয়ে পোস্ত খুব ভাল করে পেস্ট করে নিন। মিশ্রণ যেন গাঢ় হয়। আলাদা করে নারকেল কোরা বেটে রাখুন। একটি পাত্রে পোস্ত-কাঁচালঙ্কা বাটা, নারকেল কোরা বাটা, চিংড়ি, নুন, হলুদ ও সর্ষের তেল দিয়ে ঘন করে পুর বানিয়ে রাখুন।
এ বার ভাজার জন্য আলাদা করে ব্যাটার তৈরি করে রাখুন। একটি পাত্রে বেসন, চালের গুঁড়ো, কালো জিরে, নুন ও হলুদ দিয়ে সামান্য জল ছিটিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন।
কুমড়ো ফুলগুলি ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। প্রতিটা ফুলের ভিতরে দেড় চামচ মতো পোস্ত-নারকেল-চিংড়ির পুর ভরুন। একদম ঠেসে পুর ভরবেন না। পুর ভরার পরে ফুলের পাপড়িগুলি মুড়িয়ে টুথপিক দিয়ে ফুলের মুখ বন্ধ করে দিন। খেয়াল রাখবেন, ফুল ফেটে ভিতর থেকে যেন পুর বেরিয়ে না যায়।
ফুলগুলিতে পুর ভরা হয়ে গেলে ব্যাটারে ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে মুচমুচে করে ভেজে তুলুন। ভাজার সময়ে আঁচ কম রাখবেন। গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।