ভেজাল ডাল চিনবেন কী ভাবে। ছবি: ফ্রিপিক।
কতটুকু খাঁটি খাবার পেটে যাচ্ছে, আর কতটা ভেজাল ঢুকে শরীরের দফারফা করছে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আটা-ময়দা থেকে চা-কফি, সব্জি থেকে দুধ, এমনকি মশলাপাতি— প্রায় সবেতেই ভেজালের রমরমা। ভাগাড়কাণ্ড ধরা পড়ার পর থেকে মাংস নিয়েও খুঁতখুঁতুনি যাচ্ছে না। তাজা দেখে সবুজ সব্জি, রঙিন ফল কিনে আনলেন, কিন্তু বুঝতেও পারলেন না টাটকা দেখাতে তাতে কতটা ভেজাল রঙের প্রলেপ রয়েছে। তেমনই চাল, ডালেও ধরা পড়ছে ভেজাল। বাজার থেকে যে ডাল কিনে আনছেন তা কতটা খাঁটি চেনার উপায় কী?
বাজারে এখন ভেজাল ডালেরই রমরমা। কোন ডালে কতটা রঙের প্রলেপ আছে, কোনটাতে কী পরিমাণ ভেজাল মেশানো তা চেনাই মুশকিল। তবে কিছু সহজ পদ্ধতি আছে যা থেকে আপনি বুঝতে পারবেন কেনা ডালে ভেজাল আছে কি না? ধরুন মুসুর ডাল কিনে এনেছেন। ডাল খাঁটি কি না বুঝতে কিছুটা নিয়ে জল দিয়ে সেদ্ধ করুন। খাঁটি মুসুর ডাল যখন ফোটে তখন রঙে কোনও বদল হয় না। কিন্তু ডালে ভেজাল হলেই দেখবেন লালচে ভাবটা ধীরে ধীরে হলুদ হয়ে যাচ্ছে। জলেও হলুদ রং ধরছে। তাহলে বুঝতে হবে সেই ডালে ভেজাল মেশানো আছে।
যদি হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড জোগাড় করতে পারেন তাহলে খুব ভাল। ডালের উপরে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ফেলে দেখতে পারেন। যদি দেখেন ডালের রং গোলাপি হয়ে যাচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে সেই ডাল খাঁটি নয়।
অড়হড় ডালের সঙ্গে অনেক সময়েই মটর ডাল বা খেসারির ডাল মিশিয়ে দেওয়া হয়। লক্ষ্য করবেন, খেসারির ডালের আকার অন্যরকম।
মুগ ডালেও ভেজাল থাকে। ডাল খুব ভাল করে জল দিয়ে ধুতে হবে। ভেজাল থাকলে দেখবেন ডাল ধোয়ার সময়ে জলের রং বদলে গিয়েছে।