বর্ষায় কী ভাবে শাক রান্না করলে পেটের গন্ডোগোল হবে না ? ছবি: সংগৃহীত।
শাকসব্জি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী, তবে বর্ষায় শাক খেতে বারণ করা হয়। কারণ বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় শাকপাতায় ব্যাক্টেরিয়া, জীবাণু, ছত্রাকের বাস হয়। রোগবালাইয়ের আশঙ্কা দূর করতেই এই মরসুমে শাকপাতা এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়। অথচ বর্ষাকালেই নানা ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। ফলে এই সময় প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি থাকা জরুরি। আর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর মন্ত্র লুকিয়ে আছে নানা ধরনের শাকসব্জিতেই। সুস্থ থাকতে তাই শাকপাতা খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। তার উপর বিয়েবাড়ি কিংবা অনুষ্ঠান বাড়িতে মাছের মাথা দিয়ে পুঁই চচ্চড়ি হবে না, তাই কখনও হয়! বর্ষায় ইলিশের মাথা দিয়ে কচু শাক, কিংবা লাউ পাতায় চিংড়িভাপা না হলে ভোজটাই ঠিক জমে না! বর্ষায় শাক খেতে হলে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। রইল তার হদিস।
১) কেনার সময় দেখে নিন শাক টাটকা কি না। দেখে সতেজ এবং টাটকা মনে হলে তবেই কিনুন। নষ্ট হয়ে গেলে কিংবা শাক হলদে হয়ে গেলে সেগুলি ভুলেও কিনবেন না। দরকার হলে কেনার সময় শাকের পাতা ছিঁড়ে পরখ করে নিন।
২) বাজার থেকে শাকপাতা কিনে আনার পর প্রথম কাজ হবে সেগুলি ভাল করে ধুয়ে নেওয়া। কারণ শাকসব্জির ফলন যাতে ভাল হয় সে জন্য অনেক সময় নানা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। ঠিক করে না ধুয়ে রান্না করলে বর্ষায় পেটখারাপ ছাড়াও আরও অনেক সমস্যা হতে পারে।
৩) খুব ভাল হয় রান্নার আগে যদি শাক গরম জলে ভাপিয়ে নেন। শুধু ভাল করে ধুয়ে নেওয়াই যথেষ্ট নয়। শাকপাতায় থাকা ব্যাক্টেরিয়া, জীবাণু দূর করতে এর চেয়ে ভাল পন্থা আর নেই।
৪) সঙ্গে সঙ্গে রান্না না করলে শাকপাতা ধোয়ার পর জল ঝরিয়ে শুকিয়ে নেওয়া জরুরি। ভিজে অবস্থায় রেখে দিলে নতুন করে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। তা না চাইলে জল ঝরিয়ে নিয়ে শাকসব্জিগুলি খবরের কাগজের উপর ছড়িয়ে রাখুন শুকনোর জন্য।
৫) শাকপাতা জীবাণুমুক্ত করার আরও একটি উপায় হল বরফজলে কিছু ক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। মিনিট পাঁচেক বরফজলে রাখলে শাকপাতা সতেজ হয়ে যাবে। শাকপাতার সবুজ রং এবং সতেজ ভাবও অক্ষত থাকবে।