কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই আপনিও হয়ে উঠতে পারেন বেকিংয়ে পারদর্শী। ছবি- সংগৃহীত
নেটমাধ্যমে দেখে বাড়িতে বেশ কয়েক বার কেক বানানোর চেষ্টা করেছেন। অথচ সেই কেক কিছুতেই দোকানের মতো ফোলে না? বেশ কিছু খামতি থাকার কারণে বাড়িতে বানানো কেক ঠিক মনের মতো হয় না! কখনও তাপমাত্রার হেরফের, কখনও ভুল পাত্র ব্যবহার, কখনও আবার উপাদানের অনুপাতে গোলমাল— কেক বানানোর ক্ষেত্রে এই ভুলগুলি অনেকেরই হয়। কিন্তু কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই আপনিও হয়ে উঠতে পারেন বেকিংয়ে পারদর্শী।
১) বেকিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সঠিক অনুপাতে সব উপকরণ ব্যবহার করা। উপকরণের মাত্রা এ দিক থেকে ও দিক হয়ে গেলেই দোকানের মতো ফুলবে না। মাখন বা তেল বেশি হয়ে গেলে কেকের মিশ্রণ পাতলা হয়ে যাবে। ফলে ঠিক মতো ফুলবে না। আবার ময়দা বেশি পড়ে গেলেও খুব শক্ত হয়ে যাবে কেক। উপকরণ মাপার জন্য ‘বেকিং কিট’ কিনতে পাওয়া যায়। বেকিংয়ের শখ থাকলে সে রকম একটি কিট কিনে নিতে পারেন। প্রণালী ঠিক করে জেনে নিয়ে তবেই কেক বানানো শুরু করুন।
২) বেকিংয়ের সময়ে কেক ফোলার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার। এই দুই উপাদান সঠিক পরিমাণে ব্যবহার না করা হলে কেক মোটেই ফুলবে না। ব্যবহারের সময়ে দ্রব্যগুলি দেখে নিতে ভুলবেন না। সেগুলি ব্যবহারের তারিখ পেরিয়ে যায়নি তো।
বেকিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অভেনটি ‘প্রি হিট’ করা। ছবি- সংগৃহীত
৩) চিনি ও মাখন যখন একসঙ্গে মেশাচ্ছেন, সেই পর্যায়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে সেই মিশ্রণটি ফেটাতে হবে, যাতে মিশ্রণে দলা না থাকে। মিশ্রণ মোলায়েম হলে তবেই কেক ভাল ফুলবে।
৪) বিভিন্ন ধরনের কেকে ডিমের ব্যবহার বিভিন্ন ভাবে হয়। তাই রেসিপিতে কী বলা হয়েছে, তা মন দিয়ে মেনে চলতে হবে। বেশি ডিম দিলেই কেক ভাল ফুলবে, এমনটা নয়। আর ফ্রিজ থেকে বার করেই কেকে ডিম ব্যবহার করবেন না। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে তবেই ব্যবহার করুন।
৫) বেকিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অভেনটি ‘প্রি হিট’ করা। অনেকেই প্রেশার কুকারে কেক তৈরি করেন। সে ক্ষেত্রেও কুকারটি গরম করে নিতে ভুলবেন না।
কোন তাপমাত্রায় কত ক্ষণ কেক বেক করবেন, সেটাও কিন্তু রেসিপি ভেদে পৃথক হয়।