বর্ষা এসে হাজির হবে দোরগোড়ায়, আর ইলিশ পড়বে না পাতে! বাঙালি রসনায় এ উদাহরণ একেবারেই বিরল। বরং বৃষ্টিমুখর দিনে চালে-ডালে পেট ভরাতেই ভালবাসে বাঙালি। আর বর্ষায় সে ইচ্ছেকে উস্কানি দেয় ‘রূপালি শস্য’।
ইলিশ ও খিচুড়ি বাঙালি পাতে একেবারেই ‘ডেডলি কম্বিনেশন’। আদতে খাবারের ধারা ও ধরনে কিন্তু এই দুই পদের মিলমিশ হওয়ারই কথা নয়। তবু লুচি-মাংসের মতোই এই পদও রান্নার মিলমিশের ব্যাকরণে এক অনন্য ‘ব্যতিক্রম’। তাই ধরনে ভিন্ন হলেও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় এই অমোঘ জুটিকে আপন করেছে বাঙালির পেট। আর বাঙালির হাত সায় দিয়েছে সেই ভালবাসায়।
কিন্তু সাধারণ খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা দিয়ে পাত যত না আনন্দমুখর হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি রসনাবিলাস হয় ইলিশ ভুনা খিচুড়ির যৌথতায়। সেই লোভনীয় পদ বানানোর পদ্ধতি জানেন?
আরও পড়ুন: ‘চিলেকোঠা’-য় চলছে পুরনো দিনের রান্নার উৎসব! মেনুর দুই লোভনীয় পদ এ ভাবে বানিয়ে ফেলুন বাড়িতেই
ইলিশ ভুনা খিচুড়ি
উপকরণ:
সুগন্ধী বাসমতী চাল: ১ কাপ
ইলিশ মাছ: ৬ টুকরো
মুগ ডাল: প্রায় এক কাপ
মুসুর ডাল: প্রায় এক কাপ (মুগ ডালের সমান)
এলাচ: ৬-৭টি
লবঙ্গ: ৬টি
দারচিনি: ২টি
হলুদ গুঁড়ো: ৩ চা-চামচ
আদা-রসুন বাটা: ৩ চা চামচ
কাঁচালঙ্কা: স্বাদমতো
নুন: স্বাদমতো
সরষের তেল: ৮ চা চামচ
আরও পড়ুন: চিংড়ি-ইলিশের ভাব, ইছা-ইলসার জলসা
প্রণালী: বাসমতী চাল আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে জল ঝরিয়ে নিন আগে। ইলিশ মাছে নুন-হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। এর পর মুগ ডাল শুকনো কড়াইতে হালকা ভেজে ভাল করে ধুয়ে নিন। ইলিশ মাছ ভাজার তেলে এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি দিন। ফোড়ন তৈরি হয়ে এলে সুগন্ধ বেরবে। এ বার এতে আদা-রসুন বাটা দিয়ে চাল, দু’রকম ডাল, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে একটু নাড়তে থাকুন। চাল-ডাল ভাজা ভাজা হয়ে গেলে পরিমাণ মতো জল দিন। ফুটতে শুরু করলে স্বাদমতো নুন যোগ করুন। এই সময় আঁচ কমিয়ে দিন। ঢিমে আঁচে রান্না হতে হতে জল প্রায় শুকিয়ে এলে এতে ভাজা ইলিশ মাছ ও স্বাদমতো কাঁচা লঙ্কা যোগ করুন। এ বার কিছু ক্ষণ এটি ঢাকা দিয়ে রাখুন। মিনিট তিনেক ভাপে বসানোর পর নামিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।