আফ্রিকার জঙ্গল যেমন ভয়াবহ, ঠিক তেমনই এই মহাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে রয়েছে আশ্চর্য সব জিনিস। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে নামিবিয়া। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এখানে বিভিন্ন জনজাতিরও বাস করে।
নামিবিয়ার উত্তর প্রান্তে কুনেন অঞ্চলে বাস করে ওমুহিম্বা বা ওভাহিম্বা জনজাতি। এখানকার আদিবাসীরা অন্য জনজাতিদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখলেও নিজেরা আলাদা থাকতেই পছন্দ করেন।
পশুপালন এবং চাষবাস করে দিনযাপন করেন এঁরা। ছাগল,ভেড়া, গরু পালন করেন তাঁরা।
মহিলাদের কাজও বাঁধাধরা। শুধু মাত্র জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করে রান্নাবান্না করে দিন অতিবাহিত করেন তাঁরা। পুরুষরা একাধিক বিয়ে করতে পারেন। এমনই নিয়ম রয়েছে তাঁদের।
তবে, এক অদ্ভুত নিয়ম মেনে চলেন তাঁরা যা শুনলে সত্যিই অবাক হতে হয়। এই জনজাতির সকলে সারা জীবনে এক বারও জল দিয়ে স্নান করেন না।
কেন এই অদ্ভুত নিয়ম? এটা কি কোনও প্রাচীন প্রথা? আদতে তা কিছুই নয়। এই জনজাতির মানুষ যে অঞ্চলে বাস করেন তার পুরোটাই মরুভূমি। ফলে, স্নানের জন্য জল পাওয়া কষ্টসাধ্য।
তা হলে কী সারা জীবন তাঁরা নোংরা অবস্থাতেই থাকেন? না। পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য অন্য পন্থা অবলম্বন করেছেন তাঁরা। জলের বদলে তাঁরা ধূমস্নান (স্মোক বাথ) করে নিজেদের পরিষ্কার রাখেন।
ধূমস্নান করার আগে তাঁরা নিজেদের শরীরে লাল মাটি মেখে রাখেন।
তার পর একটি পাত্রে ডালপালার সঙ্গে কয়লা মিশিয়ে নেন। এই ক্ষেত্রে কমিফোরা গাছের ডাল এবং পাতাই বেছে নেন তাঁরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই কমিফোরা গাছের পাতা থেকে সুগন্ধি বার হয়। তাই মিশ্রণ তৈরিতে কয়লার সঙ্গে এই গাছের অংশ মেশান।
তার পর শরীরে একটি কাপড় জড়িয়ে তাঁরা এই ফুটন্ত পাত্রের সামনে বসে পড়েন।
যত ক্ষণ না শরীর থেকে ঘাম পড়ছে তত ক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা এই বিশেষ পদ্ধতিতে স্নান করেন।