নতুন প্রজন্মের কাছে রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রেস্তরাঁর সংখ্যাও। চাইনিজ, মোগলাই থেকে কোরিয়ান খাবার আরও কত কী যে রয়েছে।
তবে সমস্যাও রয়েছে সেখানেই। রেস্তরাঁয় গিয়ে কী খাবেন সেটা ভাবতেই নাকি নাজেহাল এই প্রজন্ম। অন্তত ব্রিটেনের একটি ফুড চেন সংস্থার করা সমীক্ষা তো তাই বলছে।
খাবার নিয়ে খুব একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পছন্দ করেন না অনেকেই। তাই নতুন কিছু না বেছে চোখ বন্ধ করে বিরিয়ানিতে এসে থামেন।
আগে থেকে ঠিক থাকলেও রেস্তরাঁয় গিয়ে হাতে মেনু পাওয়ামাত্রই কেমন যেন চোখ ধাঁধিয়ে যায়। কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন, বুঝে উঠতে পারেন না।
আবার ‘মাল্টিকুইজ়িন’ রেস্তরাঁয় গিয়ে কোন দেশি খাবার খাবেন, তা বুঝতেও সমস্যায় পড়েন অনেকে।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, এই সমস্যা মূলত তরুণ প্রজন্মের। ব্রিটেনের একটি ফুড চেন সংস্থা এই উপসর্গের নাম দিয়েছে ‘মেনু অ্যাংজ়াইটি’।
ব্রিটেনের ওই ফুড চেন ‘প্রেজ়ো’ বিভিন্ন রেস্তরাঁয় প্রায় দু’হাজারেরও বেশি মানুষের উপর সমীক্ষা করে। সেখানেই দেখা যায়, ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে প্রায় ৩৪ শতাংশই এই অসুখের শিকার।
খাবার অর্ডার করার সময়ে অন্যের সাহায্য নেওয়ার প্রবণতা তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আবার, কোন খাবারটি কেমন খেতে বা কার সঙ্গে কোন খাবারের জুটি ভাল জমবে, তা ঠিক করতে না পারলে রেস্তরাঁর কর্মীদের সাহায্য নিয়ে, তাঁদের পছন্দ মতো খাবার অর্ডার করেন অনেকে।
আবার, অচেনা কোনও খাবার অর্ডার দিয়ে খেতে না পারলে সেই খাবার এবং টাকা— দু’টিই নষ্ট হবে সেই ভাবনাও কাজ করে মাথার মধ্যে। প্রাথমিক ভাবে ‘মেনু অ্যাংজ়াইটি’র নেপথ্যে এই সব বিষয় থাকতে পারে বলে মনে করেন মনোবিদেরা।