বছর শেষের নিলামে নিজেদের মতো করে দল গুছিয়ে নিয়েছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। কেউ খরচ করেছে দু’হাত খুলে, কেউ আবার কম খরচে দল সাজানোর দিকে মন দিয়েছে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স বরাবরের মতোই নিলামে কোনও বড় নামের জন্য ঝাঁপায়নি। ন্যূনতম মূল্য দেড় কোটি টাকায় শাকিব আল হাসানকে কেকেআর কিনেছে নিলামের শেষবেলায়। নিলামে বড় নাম বলতে ওই একটাই।
নিলামের পর কেকেআর যে ২২ জনের দল সাজিয়েছে, তাতে নামী তারকার সংখ্যা হাতেগোনা। দলে অধিনায়ক হিসাবে রয়েছেন শ্রেয়স আয়ার।
বাকিদের মধ্যে আছেন, নীতীশ রানা, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, বেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, শার্দূল ঠাকুর, লকি ফার্গুসন, উমেশ যাদব, টিম সাউদি, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী, অনুকূল রায়, রিঙ্কু সিংহ, শাকিব আল হাসান, ডেভিড উইজ়া, নারায়ণ জগদীশন, বৈভব অরোরা, মনদীপ সিংহ, লিটন দাস, কুলবন্ত খেজরোলিয়া এবং সূয়স শর্মা।
অধিনায়ক এবং দলের নির্বাচকদের ছাঁকনিতে শেষমেশ কলকাতার হয়ে মাঠে নামতে পারবেন কারা? প্রথম একাদশে কারা পাবেন সুযোগ? আইপিএলে কলকাতা দলটির আদর্শ প্রথম একাদশ কী হওয়া উচিত? উত্তর খুঁজল আনন্দবাজার অনলাইন।
এ বছর কেকেআরের চমক হয়ে উঠতে পারেন তামিলনাড়ুর নারায়ণ জগদীশন। এর আগে চেন্নাইতে ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুরন্ত প্রদর্শন করেছেন নারায়ণ।
জগদীশনকে নেওয়ার জন্য নিলামে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল তাঁর পুরনো দল চেন্নাইও। ন্যূনতম ২০ লক্ষ টাকা থেকে তাঁর দাম ওঠে ৯০ লক্ষ টাকায়। তাঁকে ওপেনার হিসাবে সুযোগ দিতে পারে কেকেআর।
জগদীশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ওপেনার হিসাবে প্রথম একাদশে রাখা যেতে পারে নীতীশ রানাকে। কলকাতার দলে আগেও বহু চমক দিয়েছেন তিনি। শুরুতেই কেকেআরের ইনিংসের ভিত গড়ে দেওয়ার দায়িত্ব থাকবে দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার নীতীশের উপর।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামতেই পারেন অধিনায়ক শ্রেয়স। আগের মরসুমেও তিনি কেকেআরের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যদিও গত বার আইপিএলের শেষ চারে খেলার সুযোগ পায়নি শ্রেয়সের দল।
চার নম্বরে রিঙ্কু সিংহকে মাঠে নামাতে পারে কেকেআর। গত মরসুমে তাঁর ব্যাটে কিছু অবিশ্বাস্য ইনিংস দেখেছিলেন ক্রিকেট ভক্তরা। এ বারে তাই আলিগড়ের যুবকের কাছে প্রত্যাশা অনেক বেশি।
পাঁচ নম্বরে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হিসাবে আন্দ্রে রাসেলের স্থান পাকা। জামাইকার তারকা ক্রিকেটার রাসেল আইপিএলে বোলারদের ত্রাস হয়ে উঠতে পারেন যে কোনও সময়। শুরুতে ব্যাটাররা ব্যর্থ হলে বড় রান খাড়া করার দায়িত্ব বর্তাবে তাঁর উপর।
ছয় নম্বরে সুযোগ পেতে পারেন শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের শাকিব বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। তাঁকে এ বছর নিলামের শেষবেলায় ন্যূনতম মূল্য দেড় কোটিতে তুলে নিয়েছে কেকেআর। আগেও নাইটদের সংসারে ছিলেন শাকিব।
সাত নম্বরে খেলতে পারেন শার্দুল ঠাকুর। দিল্লি ক্যাপিটালসের এই প্রাক্তন ক্রিকেটারকে এ বার নিলামের আগে দলে নিয়েছে কেকেআর। বল হাতে তাঁর চমক দেখার অপেক্ষায় অনুরাগীরা।
আট নম্বরে খেলতে পারেন সুনীল নারাইন। স্পিনার হিসাবে দলে তিনি এক প্রকার অপরিহার্য। তাঁর চার ওভার খেলতে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয় তাবড় ব্যাটারকে। মাঝেমধ্যে ব্যাট হাতেও মন্দ খেলেন না অভিজ্ঞ নারাইন।
নয় নম্বর ক্রিকেটার হিসাবে কেকেআরের দলে থাকতে পারেন বরুণ চক্রবর্তী। বরুণের মূল সম্পদ তাঁর লেগ-স্পিন বোলিং। ফর্মে থাকলে তাঁর বল কেড়ে নিতে পারে প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটারদের উইকেটও।
কেকেআরের দলে দশ নম্বরে থাকতে পারেন টিম সাউদি অথবা লকি ফার্গুসন। নিউ জ়িল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়ক সাউদি হয়ে উঠতে পারেন কলকাতার অন্যতম নির্ভরযোগ্য জোরে বোলার। ফার্গুসনও নিউ জ়িল্যান্ড থেকেই খেলতে আসবেন। আইপিএলে বল হাতে একাধিক বার নজর কেড়েছেন তিনি।
এগারো নম্বর খেলোয়াড় হিসাবে কেকেআরের দলে থাকতে পারেন উমেশ যাদব। এর আগেও বল হাতে তাঁর একাধিক ম্যাচ জেতানো ইনিংস দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সাউদি বা ফার্গুসনের সঙ্গে তাঁর বোলিং জুটি কেমন জমে, দেখার অপেক্ষায় কলকাতা।